• বাজির তাণ্ডব রুখতে বাড়তি নজরদারি আবাসনে, তৎপর হাওড়া সিটি পুলিশ
    বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: নিষিদ্ধ বাজির বিক্রি রুখতে অভিযান, ধড়পাকড়ের পরও সন্ধ্যা হতেই শব্দবাজির তাণ্ডব চলছে। হাওড়া শহরের আনাচে-কানাচে রবিবার রাত থেকেই দেদার শব্দবাজি ফাটতে দেখা গিয়েছে। শব্দবাজির ব্যবহার রুখতে কালীপুজো থেকে ছট পর্যন্ত লাগাতার নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ। আবাসনগুলিতে সচেতনতা প্রচারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রায় আড়াই হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে শহরে।

    গ্রামীণ এলাকার পাশাপাশি হাওড়া সিটি পুলিশের একাধিক থানা অভিযান চালিয়ে গত দু’সপ্তাহে প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে। গোলাবাড়ি, লিলুয়া, সাঁকরাইল থানার অভিযানে হদিশ মিলেছে বহু বেআইনি বাজির। কিন্তু হাওড়া শহরজুড়ে গ্রিন আতশবাজির আড়ালে নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিক্রি যে খুব একটা রোখা যায়নি, তা রবিবার সন্ধ্যা থেকেই স্পষ্ট হয়েছে। আড়ালে আবডালে বিক্রি হয়েছে সর্বত্রই। পঞ্চাননতলা থেকে লিলুয়া, জিটি রোড থেকে টিকিয়াপাড়া— শব্দবাজির ব্যবহারও হয়েছে যথেচ্ছভাবে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন আবাসনগুলিতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বহুক্ষেত্রে বাইরে থেকে মূল গেট বন্ধ করে দিয়ে ভিতরে দেদার শব্দবাজি ফাটানো হচ্ছে। অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়াই আবাসনগুলির ছাদে চলে শব্দবাজির তাণ্ডব। সেকারণেই এবছর আবাসনগুলিকে বিশেষভাবে সতর্ক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি নিষিদ্ধ বাজি পোড়ালে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, সে সম্পর্কে সচেতনও করা হয়েছে আবাসন কর্তৃপক্ষ ও আবাসিকদের। প্রয়োজনে ড্রোনে আবাসনের আশপাশে নজরদারি চালাবে পুলিশ। 

    রবিবার রাতে গোলাবাড়ির একটি আবাসনে শব্দবাজি পোড়ানোর অভিযোগ আসে পুলিশের কাছে। হৃদরোগে আক্রান্ত আবাসনের এক বাসিন্দার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গিয়ে বাজি ফাটানো বন্ধ করে। যদিও এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘কালীপুজো থেকে ছট পর্যন্ত শব্দবাজির বিক্রি ও ব্যবহার নিয়ে লাগাতার নজরদারি চলবে। তবে সচেতনতার উপর এবছর বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপাবলি প্রাক্কালে শহরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রায় আড়াই হাজার বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। প্রায় ৫০০ জন উচ্চ পদমর্যাদার অফিসার নেতৃত্বে থাকবেন। অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনায় যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেজন্য দমকলের সঙ্গে যৌথভাবে প্রস্তুত রাখা হবে বিপর্যয় মোকাবিলাকারী বাহিনীকে। বিসর্জন ঘাটগুলিতেও বাড়তি নজরদারি রাখা হচ্ছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)