পুজোয় আলোর রোশনাইয়ে ভাসল সল্টলেক, নারায়ণপুর ও রাজারহাট
বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ‘তমসো মা জ্যোতির্গময়।’ কালীপুজোর সঙ্গেই আসে দীপাবলি। অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাওয়ার প্রার্থনা। তাই থিমের মণ্ডপের সঙ্গে অভিনব আলোকসজ্জা। মণ্ডপের বাইরেও বড় বড় আলোর তোরণ। এলইডি’র ঝলকানি। সোমবার কালীপুজোর রাতে কার্যত আলোর রোশনাইয়ে ভাসল নারায়ণপুর, রাজারহাট থেকে সল্টলেক। কোন মণ্ডপে কি থিম, তা আগেই জেনে নিয়েছে দর্শনার্থীরা। তাই থিমের দিকেই হেঁটে হেঁটে এগিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। মণ্ডপের সামনে সেলফি, সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট, স্টেটাসে অনুভূতির কথা। তবে শুধু তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরাই নয়। পাড়ার সামনে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন বহু প্রবীণ।
নারায়ণপুর বা রাজারহাট। কিংবা সল্টলেক। শাসকদলের নেতাদের পুজোগুলির দিকেও দর্শনার্থীদের ঝোঁক ছিল বেশি। কারণ প্রতিবারই তাঁরা নতুন ধরনের থিম নিয়ে হাজির হন। বিগ বাজেটের পুজো হয়। যেমন নারায়ণপুরের লালকুঠির নেতাজি সংঘ। রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের পুজো এটি। এখানে এবার ‘রূপকার’কেই থিম হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। অন্য ধরনের কাজ দেখতে ভিড় করছেন মানুষ। রাজারহাট থানার সামনে গুজরাতের স্বামী নারায়ণ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করেছে হরেকৃষ্ণ স্মৃতি পল্লি কল্যাণ সংস্থা। এটি রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর করের পুজো। দর্শনার্থীদের সঙ্গে এখানে নেতা-নেত্রীদের আনাগোনা কম নয়।
সল্টলেক বিএফ-সিএফ ব্লকের মৈত্রী সংঘ বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তের পুজো। এখানে বেলুড় মঠের আদলে থিম করা হয়েছে। সবথেকে আকর্ষণ মাতৃ প্রতিমায়। দেবীকে সাড়ে ৮২ কেজি সোনার গয়না পরানো হয়েছে। নজর কেড়েছে নারায়ণপুর তেঁতুলতলার পল্লিশ্রী সংঘের ‘নারীশক্তি’ থিমও। ছোটদের বেশি ভিড় হচ্ছে নারায়ণপুর সবুজ সংঘে। স্টেশনের আদলে মণ্ডপ। ট্রেন, প্ল্যাটফর্ম, টিকিট কাউন্টার সবই রয়েছে! আলোকসজ্জায় এখন টুনি বাল্বের অবসান হয়েছে। এসেছে এলইডি। তাতে আলোর গেট হাল্কাও হয়েছে। এলইডির সঙ্গে অনেকে বসিয়েছেন ডিসপ্লে বোর্ড। সেখানে আবার চলমান আলো। দর্শনার্থীদের সঙ্গে যেন চলমান আলোও এগিয়ে গিয়েছে রাতভর।