• ‘সবুজ’ দীপাবলিতে ধোঁয়ার চাদরে ঢাকল দিল্লি, দূষণের মাত্রা ৪৫০ পার
    প্রতিদিন | ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়সীমা বেঁধে দীপাবলিতে ‘সবুজ বাজি’তে সম্মতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সে সময়সীমা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। রাতভর অবিরাম আতশবাজির দৌরাত্ম্যে দূষণে ভারী হয়ে উঠল দিল্লির বাতাস। সোমবার সকালে দেখা গেল ধোঁয়াশায় ঢেকে গিয়েছে দিল্লি। বাতাসের গুণগত মান (AQI) ৪৫১তে পৌঁছে গিয়েছে। যা ‘ভীষণ খারাপ’ পর্যায়ে পড়ে। বিভিন্ন এলাকার গড় একিউআই ছিল ৪০০।

    বাড়তি দূষণের কথা মাথায় রেখেই দীপাবলিতে দিল্লিতে শর্তসাপেক্ষে সবুজ আতশবাজিতে ছাড়পত্র দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দিওয়ালি উপলক্ষে শনিবার থেকেই বাজি পোড়ানোর অনুমতি ছিল। শনিবার সারাদিন এবং রাতেও বাজি পোড়ায় শহরবাসী। রবি ও সোমবার পর্যন্ত চলে বাজি পোড়ানো। পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ আকার নেয়। মঙ্গলবার সকালে নয়ডা এবং গুরুগ্রামের মতো শহরগুলির অবস্থাও খুব খারাপ আকার নেয়। ধোঁয়ার জেরে কমে যায় দৃশ্যমানতা। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় এই দুই শহরের একিউআই ছিল যথাক্রমে ৪০৭ এবং ৪০২।

    বাতাসের গুণমান ৩০০ পার করলেই তা ‘খুব খারাপ’ হিসেবে গণ্য করা হয়। সেখানে দিল্লির একিউআই ৪৫১তে। উজিরপুর (৪৩৫), দ্বারকা (৪২২), অশোক বিহার (৪৪৫) এবং আনন্দ বিহার (৪৪০) এর মতো স্থানগুলিতে বাতাসের গুণগত মান ‘গুরুতর’ ছিল। উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৮ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে সবুজ বাজি ফোটানোর অনুমতি দিয়েছিল। সময়ও বেঁধে দিয়ে বলা হয়েছিল সকাল ৬টা থেকে ৭টা এবং রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে। তবে বাস্তবে সে নিয়ম কার্যকর হয়নি। সারারাত চলে বাজির দাপট। গত বছর, দীপাবলির পর দিল্লির বাতাসের গুণমান ছিল ৩৫৯। অর্থাৎ গতবারের রেকর্ড এবার ভেঙে ফেলল দিল্লি।

    উল্লেখ্য, রাজধানীর বাতাসের গুণমান ‘খুব খারাপ’ হতেই জিআরএপি-২ চালু করেছে ‘কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’ (সিএকিউএম)। জিআরএপি হল ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ অর্থাৎ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ। জিআরএপি-২ কার্যকর থাকাকালীন রাস্তায় জল ছেটানো হয়ে থাকে। জেনারেটরের ব্যবহার কমাতে বিদ্যুতের জোগান বৃদ্ধি করা হয়। নাগরিকদের নিজের গাড়ির ব্যবহার কমাতে পার্কিংয়ের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয় ইত্য়াদি। যদিও পরিবেশবিদরা প্রশ্ন তুলছেন, সবুজ বাজিতে কীভাবে এতখানি দূষণ হতে পারে? আদৌ কি রাজধানীবাসী শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মান্য করেছে?
  • Link to this news (প্রতিদিন)