• দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে রাম মন্দিরের সঙ্গে অপারেশন সিঁদুরকে জুড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী, জোর দিলেন স্বদেশী পণ্যের ব্যবহারেও
    আজকাল | ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর প্রভু রামের শিক্ষার উদাহরণ, দেশবাসীর উদ্দেশ্যে লেখা দীপাবলির চিঠিতেই এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার চিঠিতে দেশের কিছু অঞ্চল থেকে নকশালবাদ এবং মাওবাদী সন্ত্রাসবাদ নির্মূলকে অন্যতম প্রধান সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেছেন। তার সঙ্গে ‘জিএসটি বচত উৎসব’ও রয়েছে। যার ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর চিঠিতে মোদি উল্লেখ করেছেন যে, বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার সময়ে ভারত স্থিতিশীলতা এবং সংবেদনশীলতার প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তিনি নাগরিকদের ‘স্বদেশী’ পণ্য গ্রহণ এবং যোগব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করে একটি সুস্থ জীবনযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।

    চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমি আপনাদের সকলকে শক্তি ও উৎসাহে ভরা দীপাবলির আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মাণের পর এটি দ্বিতীয় দীপাবলি। ভগবান শ্রী রাম আমাদের ধার্মিক অক্ষুণ্ণতা বজায় রাখার শিক্ষা দেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহসও দেন। কয়েক মাস আগে অপারেশন সিন্দুরের সময় আমরা এর উদাহরণ দেখেছি।”

    তিনি লিখেছেন, “এছাড়াও, এই বছরের দীপাবলি বিশেষ কারণ, প্রথমবারের মতো দেশের অনেক জেলার অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রদীপ জ্বালানো হবে। কারণ, এই জেলাগুলি থেকে নকশালবাদ এবং মাওবাদীদের নির্মূল করা হয়েছে।” তিনি যোগ করেছেন, “সাম্প্রতিক সময়ে, আমরা অনেক ব্যক্তিকে সহিংসতার পথ ত্যাগ করে উন্নয়নের মূলধারায় যোগদান করতে দেখেছি। তাঁরা  আমাদের দেশের সংবিধানের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন। এটি দেশের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি।”

    জিএসটি সংস্কারের প্রশংসা করে মোদি লিখেছেন, “এই ঐতিহাসিক সাফল্যের মধ্যে, দেশ সাম্প্রতিক দিনগুলিতে পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কারের দিকেও ঝুঁকছে। নবরাত্রির প্রথম দিনেই নতুন জিএসটি হার কার্যকর করা হয়েছে। এই ‘জিএসটি বচত উৎসব’ (সঞ্চয় উৎসব) চলাকালীন, নাগরিকরা হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করছেন।”

    অস্থির ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতের স্থিতিশীলতার প্রশংসা করে মোদি লিখেছেন, “বিশ্বের একাধিক সঙ্কটের মধ্যে ভারত স্থিতিশীলতা এবং সংবেদনশীলতার প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে আমরা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পথেও এগিয়ে যাচ্ছি।

    তিনি আরও লিখেছেন, ‘বিকশিত’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর এই যাত্রায়, নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব হল জাতির প্রতি আমাদের কর্তব্য পালন করা। আসুন আমরা ‘স্বদেশী’ (স্থানীয় পণ্য) গ্রহণ করি এবং গর্বের সঙ্গে বলি, ‘এটি স্বদেশী!’ আসুন আমরা ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ এর প্রচার করি। আসুন আমরা সকল ভাষাকে সম্মান করি। আসুন আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখি। আসুন আমরা আমাদের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেই। আসুন আমরা আমাদের খাবারে তেলের ব্যবহার ১০ শতাংশ কমিয়ে আনি এবং যোগব্যায়ামকে আপন করে নেই। এই সমস্ত প্রচেষ্টা আমাদের দ্রুত ‘বিকশিত ভারত’এর দিকে নিয়ে যাবে।

    দীপাবলি আমাদের আরও শেখায় যে যখন একটি প্রদীপ অন্য প্রদীপ জ্বালায়, তখন তার আলো কমে না, বরং আরও বৃদ্ধি পায়। আসুন আমরা এই দীপাবলিতে আমাদের সমাজে সম্প্রীতি, সহযোগিতা এবং ইতিবাচকতার প্রদীপ জ্বালাই।

    প্রসঙ্গত, সোমবার গোটা দিন ভারতীয় নৌসেনার কর্মীদের সঙ্গে আইএনএস বিক্রান্তে কাটান প্রধানমন্ত্রী। 
  • Link to this news (আজকাল)