• এক রাতে কলকাতায় বাজেয়াপ্ত প্রায় ৭০ লিটার মদ, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পুড়ল শব্দবাজি, কলকাতা পুলিশ কতজনকে গ্রেপ্তার করল জানেন?...
    আজকাল | ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার ছিল কালীপুজো। আলোর উৎসব দীপাবলি এবং কালীপুজোকে কেন্দ্র করে কলকাতা পুলিশের তরফে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এমনকি, শব্দবাজি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ ছিল। কিন্তু তারপরেও দেদার পোড়ানো হল শব্দবাজি।

    যে কারণে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হলেন অনেকে। মঙ্গলবার পুলিশের তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ শব্দবাজি পোড়াতে গিয়ে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৮৩ জন। এক রাতে শহর কলকাতায় মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬৪০ জনকে।

    অবশ্য, একাধিক ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আচরণবিধি না মানার জন্য গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪৫১ জন। কালীপুজোর রাতে জুয়া খেলতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ৬ জন। একাধিক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছেন ট্রাফিকের হাতেও।

    নেশা করে গাড়ি চালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন ৯৯ জন। শুধু সোমবার রাতে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে প্রায় ৭০ লিটার চোরাই মদ। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রায় ৯০০ কেজি শব্দবাজি। কালীপুজোয় শব্দবাজি নিয়ে এর আগেই কড়া নির্দেশিকা জারি করেছিল কলকাতা পুলিশ।

    লালবাজার সাফ জানায় যে, সুবজ বাজি ছাড়া অন্যকোনও বাজি নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কালীপুজো ও দীপাবলি উপলক্ষে রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত সবুজ বাজি পোড়ানো যাবে। এছাড়া, আগামী ২৮ অক্টোবর ছটপুজো।

    ওই দিন সকাল ছ’টা থেকে বেলা আট’টা পর্যন্ত সবুজ বাজি পোড়ানোয় ছাড় রয়েছে। ২০২১ সালে বাজি ফাটানো সংক্রান্ত বিষয় আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে বিষয়টি পৌঁছোয় সুপ্রিম কোর্টে।

    শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে সে বছর রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড সবুজ আতশবাজি ছাড়া সমস্ত ধরনের আতশবাজির আমদানি, ক্রয়, বিক্রয়, মজুত এবং ব্যবহার রাজ্য জুড়ে নিষিদ্ধ করেছিল। বেঁধে দিয়েছিল আতশবাজি ফাটানোর সময়ও।

    সেটাই বলবৎ ছিল এই বছরেও। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়, মোট ১৪০৩ রকমের বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থার বাজি বাজারে বিক্রি করার জন্য বৈধ বলে গণ্য হবে। এই বছর ধর্মতলার বাজি বাজারে মোট ৩৭টি স্টল ছিল।

    বাজারটি বড়বাজার ফায়ারওয়ার্ক্স ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে চলেছে। কালীপুজো ও দীপাবলির সময় পুলিশ বিশেষ নজরদারি চালিয়েছে যাতে সবাই নিরাপদে বাজি কিনতে ও ব্যবহার করতে পারে।

    তবে নিয়ম অমান্য করে নিষিদ্ধ বাজি কেনা-বেচা করলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও সাবধান করেছিলেন কলকাতার নগরপাল মনোজ ভর্মা। কালীপুজো ও দীপাবলির আগে বুধবার পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন নগরপাল।

    কলকাতায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার কালীপুজো হয়। বুধবারের বৈঠকে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সবদিক পর্যালোচনা করে জরুরি গাইডলাইন বেঁধে দেন সিপি। ওই বৈঠকের পর মনোজ ভার্মা সাফ জানিয়ে দেন, ‘গ্রিন বাজিতে অনুমতি রয়েছে, এছাড়া যে বাজিগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলি কোনওভাবেই বিক্রি করা যাবে না। নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর শাস্তি হতে পারে বলেও সতর্ক করে দেন নগরপাল।’

    প্রতিবছরের মতো এবারেও প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কলকাতার নগরপাল জানান, আগামী ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর, এই তিনদিনের মধ্যে শহরের সমস্ত প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে।

    একইসঙ্গে বিসর্জনের সময়েও মেনে চলতে হবে নিয়ম। যেমন- ডিজে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দমকল বিভাগের ২০১৯ সালের জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন নগরপাল।
  • Link to this news (আজকাল)