মনোরঞ্জন মিশ্র: দেওরের হাতে বৌদি খুন (Sister-in-Law killed by Brother-in-Law)। কালীপুজোর রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়ার পাড়া থানার চাপুরি গ্রামে। মৃতার নাম পদবী টুডু (২৯)। জানা গিয়েছে, তাঁকে বহুদিন ধরেই ডাইন অপবাদ দেওয়া হচ্ছিল। তা নিয়ে পরিবারের ভিতরে সমস্যাও ছিল। সেই সমস্যার যে এমন পরিণতি হতে পারে, কে জানত?
দেওর-বৌদি
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে এই পরিবারের মধ্যে ভয়ংকর ঝামেলা হয়। সেখানে দেওর তার বউদি পদবী টুডুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুখ থেঁতলে খুন করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পাড়া থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ডাইনি টুডু
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পদবী টুডুকে ডাইনি বলে অপবাদ দিয়ে আসছিল তাঁর পরিবার এবং আত্মীয়দের একাংশ। তা থেকে বারেবারেই ঝামেলা বাধত। সেই সূত্রে তৈরি হয়ে গিয়েছিল শত্রুতাও। এরই জেরে কালীপুজোর রাতে এই পরিবারে ঝামেলা হয়। সেই ঝামেলারই ফলশ্রুতি পদবীর খুন হওয়া। ঘটনাস্থল থেকে মুখ থেঁতলানো রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় পদবী টুডুর। পাড়া থানার পুলিস পদবী টুডুর দেওর-সহ একাধিক সন্দেহভাজন আত্মীয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
পূর্ণিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে
প্রসঙ্গত, পূর্ণিয়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম তেতগামাতেও কয়েকমাস আগে একই ঘটনা ঘটেছিল। এই গ্রামেরই বাসিন্দা রামদেব ওরাওঁর ছেলের মৃত্যু হয়। অসুস্থ ছিল সে। বাড়িতেই ঝাড়ফুঁক চলছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ওই পরিবারের আর এক শিশু অসুস্থ। আর তাতেই গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়েন বাবুলাল ওরাওঁ ও তাঁর পরিরারের সদস্যরা। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়, বাবুলাল ও তাঁর পরিবারের লোকেরা 'ডাইনি'। 'কালাজাদু' জানেন তাঁরা। অভিযোগ, রবিবার বাবুলালের বাড়িতে চড়়াও হন গ্রামবাসীরা। পরিবারের ৫ সদস্যকে প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়! মৃতেরা হলেন বাবুলাল ওরাঁও, সীতাদেবী, মনজিত্ ওরাঁও, রানিয়া দেবী ও টাপটো মোসমাত। কোনওমতে প্রাণে বেঁচে দিয়েছে এক শিশু। সে জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে গ্রামের সকলেই জড়িত। এই ঘটনায় অবশ্য থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।