প্রদ্যুত দাস: স্বামী বাড়িতে নেই। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিবেশী তিন যুবকের গণবর্বরতা। বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনাটি, জলপাইগুড়ির।
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারিকামারি কালীহাট এলাকার বাসিন্দা নির্যাতিতার স্বামী। পেশায় তিনি সবজি বিক্রেতা। গত শুক্রবার রাতে তিনি বাড়িতে ছিলেন। রাতে একাই বাড়িতে ছিলেন স্ত্রী। নিজের মত তিনি রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি নিজের উঠানে কলের পাড়ে বাসন মাজতে গেলে জোর করে তাদের বাড়িতে ঢোকে প্রতিবেশী তিন যুবক। শুক্রবার রাত ১০ নাগাদ একই এলাকার তিন যুবক বলপূর্বক ঘরে ঢুকে মহিলার উপর চড়াও হয়। তারপর ঘরে নিয়ে গিয়ে বিছানার উপর গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ, জানান নির্যাতিতা।
নির্যাতিতা আরও জানান, যাওয়ার সময় প্রতিবেশী ওই তিন যুবক তাকে হুমকি দেয়, যদি সে এই ব্যাপারে কোনওরকম কোনও কিছু কাউকে বলে তাহলে তাকে এবং তার স্বামীকে খুন করে দেবে। এই ঘটনায় ওই গৃহবধূ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে এলাকার পঞ্চায়েত গণেশ সরকারের কাছে গিয়ে বিষয়টি সমস্ত খুলে বলেন। এরপরে ওই এলাকার পঞ্চায়েত গণেশ সরকার তাঁকে সাহস দিলে, তিনি এই ঘটনা তাঁর স্বামীকে জানান। এবং গত রবিবার এই বিষয় নিয়ে ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে নির্যাতিতা এবং তাঁর স্বামী ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পুলিস ঘটনার তদন্ত নেমে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। নির্যাতিতা বলেন, 'অভিযুক্তরা আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে দাঁত দিয়ে কামড়ে আঘাত করে। শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ।' এরপর নির্যাতিতা কিছুক্ষণের জন্য অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা জানান এই ঘটনায় যারা যুক্ত তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়। যাতে করে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।
এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ সরকার বলেন, এটি একটা নিন্দনীয় ঘটনা, এটা কোনওভাবেই মানা যায় না। এই ধরনের ঘটনা যদি ঘটতে থাকে, তাহলে আগামী দিনে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তাই তিনি চান এই ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি হোক। ময়নাগুড়ি থানার পুলিস গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠায় বলে পুলিস সূত্রে জানা যায়।