জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৬৭ বছরের ঐতিহ্য বহন করে এ বছরও যাদবপুরের সেন্ট্রাল পার্ক ইয়ুথ আসোসিয়েশন নিয়ে এসেছে তাদের অনন্য ভাবনা খুঁটিই মণ্ডপের মূল ভিত্তি। পুজোর শুরু মানেই খুঁটিপুজো, যা শুধু একটি আচার নয়, বরং বিশ্বাস ও স্থিতির প্রতীক। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ‘খুঁটি’ বা ‘ভিত’ মজবুত হওয়া যেমন জরুরি, তেমনই মণ্ডপ নির্মাণেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এবারের মণ্ডপে খুঁটিকেই কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে সমগ্র শিল্পভাবনা।
এই ক্লাব বহু বছর ধরে কালীঘাটের কালী, যিনি ৫১ সতীপীঠের অন্যতম দেবী, তাঁরই আরাধনা করে আসছে। কালীঘাটের কালী মা শক্তি, স্থিরতা ও ভক্তির প্রতীক। সেই শক্তিকেই এ বছরের থিমে জীবন্ত করা হয়েছে কাঠ ও বাঁশের প্রতীকী রূপে যা অটলতা ও বিশ্বাসের বার্তা দেয়।
আজকের সময়ে যখন সমাজ, রাষ্ট্র বা বিশ্বের নানা প্রান্তে অস্থিরতা ও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে, তখনও আমাদের প্রয়োজন এক শক্ত ভিত্তি এমন এক ‘খুঁটি’ যা সমস্ত ঝড়ঝাপটা সামলাতে পারে। এই মণ্ডপ সেই অটল বিশ্বাসের প্রতিরূপ। ক্লাবের সদস্যদের মতে, ভারতবর্ষের মূল শক্তি এই বিশ্বাস, ঐক্য ও দৃঢ়তার মধ্যেই রয়েছে। আর সেই শক্তিই মানুষকে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস জোগায়।
এ বছর মণ্ডপে বাঁশ ও কাঠের স্থাপত্যে তৈরি হচ্ছে এমন এক প্রতীকী গঠন, যা দর্শকদের মনে করাবে যতই ঝড় আসুক, মজবুত খুঁটি কখনও নড়ে না। এটি যেমন ধর্মীয় অর্থে শক্তির প্রতীক, তেমনি মানব জীবনের নৈতিক ভিত্তির প্রতিফলনও বটে।
এই ভাবনাকেই বাস্তব রূপ দিতে নেতৃত্বে রয়েছেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গৌরব কুমার দত্ত, এবং আর্থিক দায়িত্বে অয়ন চক্রবর্তী। তাঁদের উদ্যোগেই ৬৭ বছরের ঐতিহ্য আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সৃষ্টিশীলতায়।
সেন্ট্রাল পার্ক ইয়ুথ আসোসিয়েশন তাই আবারও প্রমাণ করছে খুঁটি মজবুত থাকলে, পুজোর আনন্দ, বিশ্বাস ও ঐক্য চিরকাল অটুট থাকে।