সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স ৫৫। কিন্তু ‘বুড়ো’ হয়ে গেলেও দেশের মোস্ট ব্যাচেলরদের মধ্যে তিনি অন্যতম। দেশবাসীর ইচ্ছা, সেই এলিজিবল ব্যাচেলর যেন এবার বিয়ে করে সংসারী হন। সেই আবদার নিয়েই এবার রাহুল গান্ধীর কাছে হাজির হলেন এক মিষ্টি বিক্রেতা। সাফ জানিয়ে দিলেন, রাহুলের বিয়ে হলে তাঁদের দোকান থেকেই মিষ্টি খাওয়ানো হবে অতিথির।
দীপাবলিতে এক নতুন অবতারে দেখা দিলেন বিরোধী দলনেতা। হাতে নিয়ে বানালেন লাড্ডু। ভাজলেন অমৃতিও। সোমবার দীপাবলি উপলক্ষে রাহুল গিয়েছিলেন পুরনো দিল্লির ঘন্টেওয়ালা মিষ্টির দোকানে। সেখানেই কড়ায় অমৃতি ভাজেন, বেসনের লাড্ডু বানান। সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন রাহুল। সঙ্গে লেখেন, ‘শতাব্দী প্রাচীন এই বিখ্যাত দোকানের মিষ্টির স্বাদ একই রয়ে গিয়েছে। খাঁটি, ঐতিহ্যবাহী এবং হৃদয়গ্রাহী। দীপাবলির আসল মিষ্টি কেবল থালায় নয়, সম্পর্ক এবং সমাজেও নিহিত।’
তবে কহানি মে টুইস্ট আসে ঘণ্টেওয়ালা মিষ্টির দোকানের মালিক সুশান্ত জৈনের কথায়। তিনি সাফ বলে বসেন, “বহুদিন ধরে গান্ধী পরিবারের একাধিক বড় অনুষ্ঠানে মিষ্টি পরিবেশন করে আসছি আমরা। গোটা দেশ বলে, রাহুল মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর। তাই আমরা বলেছি, রাহুলজি আপনি তাড়াতাড়ি বিয়ে করুন। আপনার বিয়ের অনুষ্ঠানেও আমরা মিষ্টি পরিবেশন করব।” সুশান্ত মনে করিয়ে দেন, এই দোকানের অমৃতি খেতে প্রয়াত রাজীব গান্ধী খুব পছন্দ করতেন। তাই দিওয়ালির দিনে বাবার প্রিয় মিষ্টি বানিয়েছেন রাহুল।
উল্লেখ্য, অষ্টাদশ শতকে তৈরি পুরনো দিল্লির ঘন্টেওয়ালা মিষ্টির দোকানটি প্রায় ২৩৫ বছরের পুরনো। এটি ১৭৯০ সালে লালা সুখলাল জৈন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই দোকানটি দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। দোকানটি পরিচালনা করছেন সুখলালের সপ্তম পুরুষ। এখানকার মিষ্টি এখনও সেই পুরনো স্বাদ ধরে রেখেছে বলে জানা যায়। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও ঘন্টেওয়ালার মিষ্টি পছন্দ করতেন। বলা হয় যে সুখলাল জৈন প্রথম জীবনে ঘণ্টা বাজিয়ে মিষ্টি বিক্রি করতেন, সেখান থেকেই দোকানটির নামকরণ হয় ঘন্টেওয়ালা।