• ১০৮ মহিষ 'খাওয়া' ভয়ংকরা মা মহিষখাগী কালীকে ভোগে দেওয়া হয় পান্তা, খয়রা ও রুই মাছ...
    ২৪ ঘন্টা | ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • বিশ্বজিৎ মিত্র: প্রতিবছর কালীপুজোর সময়েই এই কালীর প্রসঙ্গ ওঠে, এবারও উঠল (Kali Puja 2025)। পান্তা ভাত, খয়রা মাছ ও রুই মাছ খেয়ে পাট থেকে নেমে নিরঞ্জনের পথে রওনা দিলেন মা মহিষখাগী (Mahishkhagi Kali)। ৫৫০ বছরের প্রাচীন মাতা মহিষখাগীর নিরঞ্জনযাত্রায় অসংখ্য মানুষের ভিড়। প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছরের প্রাচীন প্রথা মেনে এখনও হাজার-হাজার ভক্তের সমাগমে কাঁধে চড়ে মা রওনা দিলেন নিরঞ্জনের পথে।

    ৫৫০ বছর আগে


     


    কথিত রয়েছে, আজ থেকে ৫৫০ বছর আগে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন দেবী। তারপরে মন্দির স্থাপন করেছিলেন রাজা। প্রথমে এক তান্ত্রিকের কুঁড়ে ঘরে আরাধনা হত দেবীর। সাড়ে পাঁচশো বছর আগে ১০৮টি মহিষ বলি দিয়ে দেবী পূজিত হওয়ায় গোটা জগৎ জুড়ে নাম ছড়িয়ে পড়ে মাতা মহিষখাগী নামে।

    মায়ের ভোগ

    মায়ের ভোগ নিবেদনে রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য। মাকে ভোগ দেওয়া হয় পান্তা ভাত, খয়রা মাছ ও রুই মাছ। এরপর দেবীকে পাট থেকে নামিয়ে বরণ করা হয়। দেবী পাঠ থেকে নামতেই মন্দির প্রাঙ্গণে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে, এরপর ভক্তদের কাঁধে চড়ে নিরঞ্জনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মাতা মহিষখাগী। 

    আবেগের জোয়ার

    শান্তিপুরের রাজপথ-সহ অলিতে-গলিতে হাজার হাজার ভক্ত অপেক্ষায় থাকে মাকে একবার দর্শন করার জন্য। এই অনন্য চিত্র একমাত্র প্রথম দেখা যায় নদীয়ার শান্তিপুরে। এ বছরও মায়ের নিরঞ্জনের সময় একইভাবে হাজার হাজার ভক্ত সমাগম ঘটে। মানুষের আবেগ জড়িয়ে থাকে মাতা মহিষখাগীকে নিয়ে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)