• ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে! প্রেমিককে ফোন করে নোট লিখে ভরা গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন বাগবাজারের মানালি, মাত্র পঁচিশেই...
    ২৪ ঘন্টা | ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • বিধান সরকার: চন্দননগরের জোসেফ স্কুলের উল্টোদিকে এক যুবতী গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছে। নাম মানালী ঘোষ(২৫)। চন্দননগর বাগবাজারে বাড়ি। পুলিস একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। গঙ্গার পারে মোবাইল আর নোট রেখে ঝাঁপ দেয়। খোঁজ চলছে তাঁর। বোট নামানো হয়েছে পুলিসের পক্ষ থেকে।

    রেজিস্ট্রি হয়েছে তিন বছর আগে। আগামী ৩ রা ফেব্রুয়ারী ছিল আনুষ্ঠানিক বিয়ে। তার আগেই গঙ্গায় ঝাঁপ চন্দননগরের যুবতীর। চন্দননগর বৌ বাজার বটতলার বাসিন্দা মানালী ঘোষের(২৫) সঙ্গে বৌবাজার শীতলাতলার বাসিন্দা সত্যজিৎ রায়ের রেজিস্ট্রি বিবাহ হয় বছর তিনেক আগে।

    মানালী গত তিন বছর ধরে চন্দননগর বাগবাজারে জিটি রোডের পাশের একটি জুয়েলারী দোকানে সেলস গার্লের কাজ করতেন। যুবতীর পরিবার জানিয়েছে গত তিনদিন ধরে কর্মস্থলে কোনও সমস্যা দেখা দেয়। স্থানীয়রা জানান একদিন দোকানের বাইরে তাকে কান্নাকাটি করতে দেখা যায়। আজ সকালে কাজে এসেছিলেন যুবতী। চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন বলে তাকে লিখিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার শিকার হয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছেন চন্দননগরের যুবতী। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই জানাল পুলিস।

    মানালী দোকান থেকে বেরিয়ে তার স্বামী সত্যজিৎকে ফোন করে চন্দননগর স্ট্র্যান্ডে গিয়ে কিছুক্ষন বসেছিলেন। তারপর সুইসাইড নোট লিখে মোবাইল চাপা দিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ মারেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা এমনটাই জানিয়েছেন।

    চন্দননগর থানার পুলিয় খবর পেয়ে গঙ্গায় তল্লাশি শুরু করে। নামানো হয় ডুবুরি ও স্পিডবোট।

    পুলিস জানিয়েছে,যেখানে কাজ করতেন সেই দোকান কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে লেখা সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোকানে গিয়ে অন্যান্য কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

    যুবতীর ভাসুর শুভজিৎ রায় বলেন,দোকানে কোনও একটা সমস্যা চলছিল, তবে সেটা ঠিক কি আমরা বলতে পারব না। আজ সকালে দোকানে ঝামেলা হয়। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। ভাইকে ফোন করে বলেছিল 'এই দোকানের কাজটা আর নেই।ভাই একটি কারখানায় কাজ করে। চন্দননগর স্ট্র্যান্ডে মানালি কে বসতে বলে সে। যখন পৌঁছয় গিয়ে দেখে যা হবার তা হয়ে গিয়েছে'।

    যে দোকানে কাজ করতেন মানালি সেখানে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে তাই এই ঘটনা,অভিযোগ মানালির বাবা মানস ঘোষের। মানালির বাবা মানস ঘোষের আরও দাবি, যে দোকানে কাজ করতেন মানালি সেখানে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে তাঁকে,তাই এই ঘটনা। তবে দোকানের মালিক মমতা দাসের পাল্টা দাবি, ওই যুবতী মানসিক অবসাদে ভুগছিল। তবে ওই যুবতীর বাবা ও প্রতিবেশীরা তা মানতে চাননি।

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)