• মুখেই জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা! মোদি সরকারের দেড় হাজার কোটির ‘পিএমশ্রী’ নিল বামশাসিত কেরল
    প্রতিদিন | ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতায় সবচেয়ে বেশি সরব যে রাজ্যগুলি, সেগুলির মধ্যে একেবারে প্রথমের সারিতে কেরল। সে রাজ্যের সিপিএম সরকার স্পষ্ট ঘোষণা করে দিয়েছে, কেরলে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর হবে না। কিন্তু সেই বাম সরকারই আবার কেন্দ্রের দেওয়া পিএমশ্রী অনুদান গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিল। যা নিয়ে জোর বিতর্ক।

    কেন্দ্র আগে জানিয়ে দিয়েছে, যে সব রাজ্য ‘পিএমশ্রী’ প্রকল্পের অনুদান গ্রহণ করবে, সেই রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রের সঙ্গে ‘মৌ’ চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। সেই মৌ স্বাক্ষর করার অর্থ ঘুরপথে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করা। কারণ, ওই মৌ চুক্তিতে এমন বহু শর্ত আছে যা জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রস্তাব করা হয়েছিল। বস্তুত রাজ্যগুলিকে ওই টাকা দেওয়া হচ্ছে নতুন শিক্ষানীতি কার্যকর করার খরচ হিসাবেই। ‘পিএমশ্রী’র টাকা গ্রহণ করার অর্থ ঘুরিয়ে জাতীয় শিক্ষানীতির সেই শর্তগুলি মেনে নেওয়া। এর মধ্যে রয়েছে ত্রিভাষা নীতিও। যে নীতির প্রবল বিরোধী দক্ষিণের রাজ্যগুলি।

    বস্তুত ২০২০ সালে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাব দেয় কেন্দ্র। দেশের সব রাজ্যকে অনুরোধ করা হয় ওই শিক্ষানীতি কার্যকর করার জন্য। কেন্দ্রের অনুরোধে বেশ কিছু বিজেপি শাসিত রাজ্য ওই শিক্ষানীতি কার্যকরও করেছে। কিন্তু তামিলনাড়ু, বাংলা, কেরল-সহ কয়েকটি রাজ্য কেন্দ্রের ওই নীতির প্রবল বিরোধিতা করছে। কোনওভাবেই ওই নীতি কার্যকর করা হবে না বলে একপ্রকার কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে চলে যায় কেরল। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন দাবি করেন, এই জাতীয় শিক্ষানীতি গোটা দেশের জন্য বিপজ্জনক। কিন্তু এখন ‘পিএমশ্রী’র টাকা গ্রহণ করে ঘুরপথে সেই নীতিই কার্যকর করছে কেরল। স্বাভাবিকভাবেই জোর বিতর্ক রাজ্য রাজনীতিতে।

    বিরোধী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ বাম সরকারের সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করেছে। এমনকী শাসক শিবিরের অন্যতম শরিক সিপিআইও সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব। তবে সিপিএমের যুক্তি, কেন্দ্রের টাকা নেওয়ায় আপত্তির তো কোনও জায়গা নেই। তাছাড়া, এই মুহূর্তে কেরল সরকার খানিকটা হলেও আর্থিক সংকটে। এই পরিস্থিতিতে যা আসে, সেটাই লাভ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)