‘টার্গেট’ পূরণে অমানুষিক চাপ! বিয়ের ৪ মাস আগেই গঙ্গায় ঝাঁপ চন্দননগরের তরুণীর
প্রতিদিন | ২২ অক্টোবর ২০২৫
সুমন করাতি, হুগলি: চারমাস পর বিয়ে। ঠিক হয়ে গিয়েছে দিনক্ষণ। তার আগেই গঙ্গায় ঝাঁপ যুবতীর। লিখে গিয়েছেন সুইসাইড নোটও। সেই নোটে নিজের কর্মস্থল একটি সোনার দোকানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যুবতী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরে।
যুবতীর নাম মানালি ঘোষ। বয়স ২৫ বছর। তিনি চন্দননগর বউবাজার বটতলার বাসিন্দা। ৩ ফেব্রুয়ারি ছিল তরুণীর বিয়ে। তিনবছর আগে চন্দনগরেরই যুবক সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তাঁর রেজিস্ট্রি হয়।
মানালি তিনবছর যাবৎ চন্দননগরের বাগবাজারে জিটি রোডের পাশের একটি সোনার দোকানে সেলস বিভাগে কাজ করতেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন তিনেক ধরে চাকরি নিয়ে সমস্যা চলছিল। প্রতিদিনের মতো আজ, মঙ্গলবারও কাজে এসেছিলেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, মানালি চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন সেই মর্মে একটি বয়ান তাঁকে দিয়ে লিখিয়ে নিয় কর্তৃপক্ষ। তারপরই গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছেন যুবতী। গঙ্গায় তল্লাশি শুরু করেছে চন্দননগর থানার পুলিশ। নামানো হয়েছে ডুবুরি, স্পিডবোট।
পুলিশ জানিয়েছে, যুবতী যেখানে কাজ করতেন সেই দোকান কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে লেখা একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। দোকানে গিয়ে কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ঘটনায় দোকানের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও জানা গিয়েছে, যুবতী দোকান থেকে বেরিয়ে স্বামী সত্যজিৎকে ফোন করেন। চন্দননগর স্ট্যান্ডে গিয়ে কিছুক্ষণ বসেছিলেন। তারপর সুইসাইড নোট লিখে মোবাইল চাপা দিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। যুবতীর ভাসুর শুভজিৎ রায় বলেন, “দোকানে কোনও একটা সমস্যা চলছিল। সেটা ঠিক কী আমরা বলতে পারব না। আজ সকালে কিছু একটা ঝামেলা হয়েছিল। ভাইকে ফোন করে ও। জানায় দোকানের কাজটা আর নেই। ওকে চন্দননগর স্ট্যান্ডে বসতে বলে ভাই। যখন পৌঁছয় ততক্ষণে সব শেষ।”