কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে কড়া ব্যবস্থা নিল মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ প্রশাসন। বন্ধ করা হল ১,০৯৩টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট। সোশাল মিডিয়া অর্থাৎ ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ও এক্সকে ব্যবহার করে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক এবং বিদ্বেষমূলক পোস্ট এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছিল। এই সংক্রান্ত খবর পেতেই নড়েচড়ে বসে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ এবং সাইবার সেল। যৌথভাবে তদন্ত নামেন আধিকারিকরা। এরপরেই ১,০৯৩টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হল। শুধু তাই নয়, ১১ হাজারেও বেশি বিদ্বেষমূলক পোস্ট ডিলিট করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ডিলিট করে দেওয়া একাধিক অ্যাকাউন্ট বিদেশ এবং অন্য রাজ্য থেকে পরিচালিত করা হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, এক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যক্তিদের মুখ বসিয়ে ভুয়ো বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছিল। এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেতেই একের পর এক সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টকে ব্লক করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। শুধু তাই নয়, ৪০০ জনেরও বেশি জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ সাইবার থানার আইসি, উৎপল কুমার সাহা বলেন, ”কিছু মানুষ সোশাল মিডিয়াকে ধর্মীয় হিংসা এবং বিদ্বেষ ছড়ানোর মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করছে। গত কয়েকদিনে ১১ হাজারেরও বেশি বিদ্বেষমূলক পোস্ট ডিলিট করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হাজারেরও বেশি প্রোফাইলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” এই সমস্ত অ্যাকাউন্টকে ব্যবহার করে একের পর এক উস্কানিমূলক পোস্ট করা হচ্ছিল বলে দাবি ওই পুলিশ আধিকারিকের। শুধু তাই নয়, আইসির দাবি, ৪৮৬ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নেওয়া হচ্ছে আইনত ব্যবস্থা। এমনকী বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও এদিন জানিয়েছেন উৎপল কুমার সাহা।
জানা যায়, এরপরেই পুলিশের তরফে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে MurshidabadFakeNews এবং #VerifyBeforeShare নামে বিশেষ হ্যাশট্যাগ সচেতনতামূলক পোস্ট। শুধু তাই নয়, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় তরুণ-তরুণীরা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পড়ুয়াদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত ভুয়ো খবর বিরোধী প্রচারে অংশ নিচ্ছেন তাঁরা।