পিএম শ্রীর টাকা নিল কেরলের সিপিএম সরকার, এবার কি কেন্দ্রীয় শিক্ষা নীতিও কার্যকর হবে রাজ্যে?
বর্তমান | ২২ অক্টোবর ২০২৫
তিরুবনন্তপুরম: নীতি থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল কেরলের বাম সরকার। এতদিন পিএম শ্রী মানব না বলে ঘোষণা করলেও এবার সেই নীতি থেকে সরে এল তারা। এমনকি শরিক ও বিরোধী দলের আপত্তি সত্ত্বেও কেন্দ্রের পিএম শ্রী শিক্ষা চালুর বিষয়ে সবুজ সংকেত দিল কেরলের সিপিএম সরকার। এর ফলে ১৫০০ কোটি টাকার আর্থিক সুবিধা পাবে কেরল। আগামী বছর কেরলে বিধানসভা নির্বাচন। তার ঠিক আগে পিনারাই বিজয়ন সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে কেরল সরকারের তরফে বলা হয়, তারা পিএম শ্রী নিয়ে মউ স্বাক্ষর করবে না। কারণ, ওই চুক্তির বহু বিষয়ের সঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীতির মিল রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছিলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি দেশের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু সোমবার কেরলের শিক্ষামন্ত্রী ভি সিভানকুট্টি বলেন, ‘শিক্ষাদপ্তর কেন কেন্দ্রের টাকা নেবে না? স্বাস্থ্য ও কৃষিদপ্তর তো ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের টাকার জন্য আবেদন করেছে। সূত্রের খবর, কেরল শিক্ষাদপ্তর এখন আর্থিক সংকটে ভুগছে। যার জেরে স্কুলগুলির মানোন্নয়ন করা যাচ্ছে না। প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাতেই। সেই সমস্যা কাটাতেই এখন কেন্দ্রের সাহায্যের উপর ভরসা করতে চাইছে কেরলের বাম সরকার।
যদিও পিএম শ্রী প্রকল্প চালু না করার জন্য প্রথম থেকেই প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছিল এলডিএফের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক সিপিআই ও বিরোধী দল কংগ্রেস। দু’পক্ষেরই দাবি ছিল, এই প্রকল্পের আড়ালে আদতে রাজ্যগুলির উপর জাতীয় শিক্ষানীতি চাপিয়ে দিতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। পিএম শ্রী প্রকল্প চালুর বিষয়টি নিয়ে এর আগে দু’বার বিজয়ন মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু সিপিআইয়ের বিরোধিতায় সেবার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু এবার সিপিআইয়ের আপত্তি সত্ত্বেও কেন্দ্রের টাকায় সায় দিল মন্ত্রিসভা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এবার জাতীয় শিক্ষানীতিও মেনে নিচ্ছে কেরলের বাম সরকার?  ফাইল চিত্র