নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদের প্রাচীন মন্দির ও বারোয়ারি পুজো মণ্ডপগুলিতে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই কার্যত ঢল নামে। প্রতিমা, মণ্ডপসজ্জা ও আলোকসজ্জা দেখতে গ্রাম থেকে মানুষ শহরমুখী হয়েছেন। এদিন দুপুরে অনেক পুজো মণ্ডপে ভোগ বিলি করা হয়। সন্ধ্যা থেকে আলোর রোশনাইয়ে মাতোয়ারা জেলাবাসী।
কালীপুজোর রাতে অনেকেই পুজো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। পাড়ার পুজো কিংবা বাড়ির পুজো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সকলেই। তাই এদিন সন্ধ্যায় প্যান্ডেল হপিংয়ে ভিড় উপচে পড়ে। লালবাগ, কান্দি, ডোমকল ও জঙ্গিপুর মহকুমা থেকে বহু দর্শনার্থী এদিন বহরমপুর শহরে প্রতিমা দশরং করেন। বিশেষ করে জজ কোর্ট মোড়ের স্যান্টাফকিয়া, ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানের ক্যান্টনমেন্ট ইয়ং মেনস ও তপবনের পুজো দেখতে মানুষের ব্যাপক উৎসাহ ছিল। এছাড়া বহরমপুরের বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি, দয়াময়ী কালীবাড়ি, কান্দি গোকর্ণের শ্যামরাই, ভাগীরথীর তীরে কেএন কলেজ ঘাটের বড় মা, খাগড়ার জয় মা, গোড়াবাজারের নিমতলায় কালীমন্দির, কৃপাময়ী কালী মন্দিরেও পুজোর আরতি দেখতে সন্ধ্যায় ভিড় করেন পুণ্যার্থীরা। খাগড়ার বাসিন্দা রজত মণ্ডল বলেন, পুজোর দিনে পাড়া থেকে বেরনো হয় না। তাই এদিন মায়ের মন্দিরে প্রণাম করতে বেরিয়েছি। রাতের দিকে একটু বারোয়ারি পুজোর মণ্ডপে প্রতিমা দেখব। কান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা গৌতম রায় বলেন, এদিন দুপুরে পুজোর প্রসাদ খেয়েছি। বিকেলে কয়েকটা পুজোর মণ্ডপে গিয়ে প্রতিমা দর্শন সারলাম। সন্ধ্যায় বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে আতসবাজি ফাটাব। হরিদাসমাটির বাসিন্দা সমর হালদার বলেন, দুপুরবেলা মায়ের ভোগ খেয়েছি। রাতের বেলা প্রতিমা দর্শন করতে বের হব। জজ কোর্ট মোড়ের স্যান্টাফকিয়া, ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানের ক্যান্টনমেন্ট ইয়ং মেনস ও তপবনের পুজো মিস করা যাবে না।
আলোর রোশনাইয়ে সুসজ্জিত হয়ে উঠেছে জেলা। বেশিরভাগ বাড়ি চীনা আলোর দখলে থাকলেও অনেকেই প্রদীপ ও মোমবাতির আলোয় ঘর আলোকিত করে তোলেন। তার সঙ্গে রংবেরঙের আতসবাজিতে রঙিন হয়ে পুজো মণ্ডপ চত্বর। এদিকে সোমবার রাতে সালারের দক্ষিণখণ্ড গ্রামের একটি কালীপুজোর উদ্বোধনী মঞ্চে রাজ্যের এক বিজেপি নেতাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন ভরতপুর বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এদিন রাতে তিনি মঞ্চে ওঠার পর উদ্যোক্তা ও স্থানীয়দের শুভেচ্ছা জানান। এর পরেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রাজ্যের এক বিজেপি নেতাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ওই বিজেপি নেতা কারচুপি করে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় বাহীনির সাহায্য নিয়ে লোডশেডিং করে মুখ্যমন্ত্রীকে হারানো হয়েছিল। তার মুখে আবার বড় বড় কথা। উনি বলেছেন নাকি, আগামী বিধানসভায় ভোটে আমি ভরতপুরে দাঁড়ালে একা টারজেন (তৃণমূলের প্রাক্তন ভরতপুর-১ ব্লক সভাপতি) আমাকে হারিয়ে দেবেন। আর সালারে হারাবেন সুমন (তৃণমূলের প্রাক্তন ভরতপুর-২ ব্লক সভাপতি)। আমি ওই বিজেপি নেতাকে চ্যালেঞ্জ করছি, দম থাকে তো আপনি এখানে আমার বিরুদ্ধে ভরতপুরে দাঁড়ান। আপনাকে ৩০ হাজার ভোটে হারিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। আর তা না পারলে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেব। আর আপনি হারলে আপনাকেও তাই করতে