নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: জনবহুল রাস্তা। যানবাহন চলাচল করছে। রাস্তা পারাপার করছে মানুষ। সেই রাস্তার উপরই দেদারে ফাটছে বাজি। মানুষকে ভয়ে ভয়ে বারবার থেমে তারপর রাস্তা পেরতে হয়েছে। এই বুঝি আগুনের ফুলকি ছিটকে এসে লাগল গায়ে! তবে সময় মতো টহলদারি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রকাশ্য রাস্তায় বাজি ফাটাচ্ছেন কেন? গাড়ি থেকে নেমে প্রশ্ন এক অফিসারের। মাঝবয়সি ব্যক্তি তখন দাঁত বের করে এক গাল হাসি হেসে উত্তর দিলেন, ‘স্যার, ইজরায়েল গাজায় বোম মারলে দোষ নেই? আর লেকটাউনের রাস্তায় বাজি ফাটালেই দোষ!’ ঘটনাস্থল লেকটাউন। কালীপুজোর আগের সন্ধ্যায় শব্দবাজি নিয়ে সচেতন করতে গিয়ে এমনই ঘটনার সম্মুখীন হল পুলিশ। তবে শেষপর্যন্ত পুলিশের নির্দেশে রাস্তা থেকে সরে গিয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশের দাবি, এবার কালীপুজোর অনেক থেকেই সচেতনতা প্রচার শুরু হয়েছিল। এবার নাগরিকদের সচেতন করার কাজে জোর দেওয়া হয়েছিল। লেকটাউন থানার পক্ষ থেকে টানা সাতদিন ধরে প্রচার চালানো হয়েছে।
কালীপুজোর রাতে আটটা থেকে ১০টার মধ্যে শুধুমাত্র সবুজ বাজি ফাটান, তার আগে বা পরে ফাটাবেন না। হাইরাইজ বা বহুতলের ছাদে উঠে বাজি ফাটাবেন না, সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রচার চালানো হয়েছে। এমনকী টানা মাইকে করে প্রচার অভিযানও চলেছে। আবাসিকদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকও করেছে পুলিশ। তাতে সফলতাও এসেছে। পুলিশের দাবি, অসচেতনার জন্যই বাজির বাড়বাড়ন্ত। সচেতন মানুষ কোনওদিনই নিয়মের বাইরে কাজ করেন না। রাস্তায় বাজি ফাটিয়ে অন্যদের অসুবিধা করে ওই ব্যক্তি আবার ইজরায়েল-গাজার উদাহরণ টানছেন। নিজের দু’টি হাতে বাজির প্যাকেট ধরা থাকলেও ‘অজুহাত’ যেন সবসময় প্রস্তুত।