‘কালীপুজো হোক বাজিহীন’, শিশুদের হাতে চকোলেট দিয়ে সচেতনতার বার্তা
বর্তমান | ২২ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: কালীপুজোর রাতে শব্দদানবের অত্যাচারে অতিষ্ঠ শহরবাসী। বাজি নিয়ে কার্যত নাকানিচোবানি দশা। ঠিক সেই সময়ে দাঁড়িয়ে অন্য ছবি দেখা গেল নারায়ণপুরের লালকুঠির নেতাজি সংঘে। ‘কালীপুজো হোক বাজিবিহীন’— এমনই অভিনব বার্তা দিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঠাকুর দেখতে আসা শিশুদের হাতে চকোলেট বিলি করল এই পুজো কমিটি। মণ্ডপ ঘুরতে এসে চকোলেট পেয়ে শিশুদের মুখেও হাসি। সঙ্গে দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা। উদ্যোক্তাদের কথায়, ‘শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই তাদের হাত দিয়েই সচেতনতা শুরু। আগামী প্রজন্ম সজাগ ও সুরক্ষিত থাকুক।’
আইন অনুযায়ী কেবলমাত্র পরিবেশবান্ধব ‘সুবজ বাজি’ই বিক্রি ও মজুতের অনুমতি রয়েছে। বিধি মেনে কালীপুজোর রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই সবুজ বাজি পোড়ানোর অনুমতি ছিল। কিন্তু সেই নিয়মকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কালীপুজোর রাতে কলকাতা ও বিধাননগরে মুড়ি-মুড়কির মতো ফেটেছে বাজি। তাতে বহু মানুষ অতিষ্ঠ। তবে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাজি নিয়ে অভিনব সচেনতার আয়োজনে লালকুঠির নেতাজি সংঘকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এই সংঘের কর্ণধার রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। শুধু চকোলেট নয়। এদিন একাধিক সামাজিক কর্মসূচিও রাখা হয়েছিল। বিরল রোগে আক্রান্ত ১৪ মাসের শিশুর পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। বিধায়কের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সহ অনেকেই।  নিজস্ব চিত্র