• চড় মেরেছিলেন মালিক! বদলা নিতে তাঁর পাঁচ বছরের ছেলেকে থেঁতলে খুন বাড়ির গাড়িচালকের...
    আজকাল | ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বদলা নিতে খুন। দিল্লির নারেলা এলাকায় এক মর্মান্তিক ঘটনা। পাঁচ বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল তার বাবারই এক গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে। খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার সুযোগ বুঝে অভিযুক্ত প্রথমে শিশুকে অপহরণ করে। পরে ইট ও ছুরি দিয়ে ওই শিশুকে নৃশংসভাবে খুন করে অভিযুক্ত। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রতিশোধ নিতেই এই হত্যাকাণ্ড।

    পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত চালক নিতুর ভাড়া ঘর থেকেই শিশুটির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই নিতু পলাতক। তাকে ধরতে একাধিক দল গঠন করা হয়েছে বলে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন। তিনি আরও যোগ করেন, ঘটনার আগের দিনই শিশুটির বাবা অভিযুক্তকে তিরস্কার করেছিলেন।

    ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (আউটার নর্থ) হরেশ্বর স্বামী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ নারেলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া থানায় শিশু অপহরণের খবর আসে। ওই আধিকারিক বলেন, তদন্তে জানা গিয়েছে, শিশুটি বাড়ির বাইরে খেলার সময় আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত নিতুর ভাড়া ঘর থেকেই শিশুর দেহ উদ্ধার হয়।

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর বাবা, যিনি এই মামলার অভিযোগকারী, তিনি প্রায় সাত-আটটি পণ্যবাহী গাড়ির মালিক। তাঁর কাছে নীতু এবং ওয়াসিম নামে দুই চালক কাজ করতেন।

    ডিসিপি জানান, "সোমবার সন্ধ্যায় মত্ত অবস্থায় ওই দুই চালকের মধ্যে চরম বচসা হয়। সেই সময় নীতু ওয়াসিমকে মারধর করে বলে অভিযোগ।"

    পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি গাড়ির মালিকের (শিশুর বাবা) কানে পৌঁছলে তিনি হস্তক্ষেপ করেন এবং অভব্য আচরণের জন্য নীতুকে দু-চারটে চড় মারেন। ডিসিপি বলেন, "এই ঘটনায় অপমানিত হয়েই নীতু মঙ্গলবার শিশুটিকে বাড়ির বাইরে থেকে খেলার সময় অপহরণ করে। তাকে নিজের ভাড়া ঘরে নিয়ে গিয়ে ইট ও ছুরি দিয়ে খুন করে।"

    ঘটনাটি জানাজানি হতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শিশুটিকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ওই আধিকারিক আরও বলেন, "অভিযুক্ত চালক নীতু পলাতক। তাকে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করার জন্য একাধিক দল গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্তের অবস্থান জানতে প্রযুক্তিগত নজরদারি এবং স্থানীয় গোয়েন্দা সূত্র কাজে লাগানো হচ্ছে। অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে আমরা সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছি।"
  • Link to this news (আজকাল)