সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আতশবাজির দৌরাত্ম্যে এখনও ভারী দিল্লির বাতাস। বুধবার সকালে রাজধানীর ঘুম ভেঙেছে ঘন ধোঁয়াশার মধ্যে। দিওয়ালিতে বাজি ফাটানোর পর দু’দিন কেটে গেলেও দূষণের হাত থেকে রেহাই মেলেনি। এদিন সকাল সাড়ে পাঁচটায় দিল্লির একিউআই ছিল ৩৪৫। যা ‘ভীষণ খারাপ’ পর্যায়ে পড়ে।
এর মধ্যে দিল্লির কোনও কোনও অঞ্চলে পরিস্থিতি ছিল আরও খারাপ। সকাল সোয়া ৬টায় অশোক বিহার, দিলশাদ গার্ডেন, বাওয়ানার মতো অঞ্চলে দূষণের মাত্রা ছিল ৩৮০। এরপর সকাল আটটায় ধরা পড়েছে বাওয়ানার একিউআই ৪২৩, জাহাঙ্গিরপুরীতে তা ৪০৭, ওয়াজিরপুরে ৪০৮। এই অঞ্চলগুলিই এই মুহূর্তে দিল্লির সবচেয়ে দূষিত অঞ্চল বলে ধরা হচ্ছে।
বাড়তি দূষণের কথা মাথায় রেখেই দীপাবলিতে দিল্লিতে শর্তসাপেক্ষে সবুজ আতশবাজিতে ছাড়পত্র দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দিওয়ালি উপলক্ষে শনিবার থেকেই বাজি পোড়ানোর অনুমতি ছিল। শনিবার সারাদিন এবং রাতেও বাজি পোড়ায় শহরবাসী। রবি ও সোমবার পর্যন্ত চলে বাজি পোড়ানো। পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ আকার নেয়। মঙ্গলবার সকালে নয়ডা এবং গুরুগ্রামের মতো শহরগুলির অবস্থাও খুব খারাপ আকার নেয়। ধোঁয়ার জেরে কমে যায় দৃশ্যমানতা। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় এই দুই শহরের একিউআই ছিল যথাক্রমে ৪০৭ এবং ৪০২।
উল্লেখ্য, রাজধানীর বাতাসের গুণমান ‘খুব খারাপ’ হতেই জিআরএপি-২ চালু করেছে ‘কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’ (সিএকিউএম)। জিআরএপি হল ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ অর্থাৎ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ। জিআরএপি-২ কার্যকর থাকাকালীন রাস্তায় জল ছেটানো হয়ে থাকে। জেনারেটরের ব্যবহার কমাতে বিদ্যুতের জোগান বৃদ্ধি করা হয়। নাগরিকদের নিজের গাড়ির ব্যবহার কমাতে পার্কিংয়ের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয় ইত্য়াদি। যদিও পরিবেশবিদরা প্রশ্ন তুলছেন, সবুজ বাজিতে কীভাবে এতখানি দূষণ হতে পারে? আদৌ কি রাজধানীবাসী শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মান্য করেছে?