পাঁচ বছরে সবচেয়ে খারাপ! সবুজ বাজির জেরেও মাত্রাছাড়া দূষণ, ধোঁয়াশায় ঢাকা দিল্লিতে হাঁসফাঁস দশা
আজকাল | ২২ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: টানা তিনদিন। ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা রাজধানী দিল্লি। দীপাবলিতে সবুজ বাজি পোড়ানোর জেরেই মাত্রাছাড়া দূষণের কবলে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা। সমীক্ষা বলছে, গত পাঁচ বছরের মধ্যে দীপাবলি পরবর্তীকালে সবচেয়ে খারাপ বাতাসের গুণগত মান চলতি বছরে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে, পুলিশের কড়া নজরদারি এড়িয়ে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় দু'ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বাজি পোড়ানো হয়েছে। যার ফলেই চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছেন গোটা রাজ্যের মানুষ। বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ দিল্লির বাতাসের গুণগত মান বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৩৪৫। যা 'খুব খারাপ' পর্যায়ে রয়েছে টানা দু'দিন ধরেই।
৩৮টির মধ্য ৩৪টি জায়গা রয়েছে রেড জোনের মধ্যে। অর্থাৎ এই ৩৪টি জায়গায় বাতাসের গুণগত মান বা একিউআই 'খুব খারাপ' থেকে 'ভয়াবহ' পর্যায়ে রয়েছে। দু'টি জায়গায় পাঞ্জাবি বাগ ও ওয়াজিরপুরে বাতাসের গুণগত মান যথাক্রমে ৪৩৩ ও ৪০১। যা 'ভয়াবহ' পর্যায় অতিক্রম করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ অক্টোবর শীর্ষ আদালতের নির্দেশ দিয়েছিল, দীপাবলিতে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দিল্লিতে শুধুমাত্র সবুজ বাজি পোড়ানোর অনুমতি রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিয়ম ভেঙে অনেকেই শব্দবাজিও ফাটিয়েছেন। বায়ুদূষণ, শব্দদূষণে দীপাবলির আবহে জেরবার দিল্লি।
অন্যদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে দূষণ রোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার আবেদন করেছিলেন। সবুজ বাজি ফাটানোর আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি প্রদীপ জ্বালিয়ে, রঙ্গোলি বানিয়েও দীপাবলি উদযাপনে উৎসাহ দিয়েছিলেন। বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়তেই আম আদমি পার্টির নেতারা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ফের সরব হয়েছেন। এই দূষণ ঘিরে রাজনীতিকরাও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
দিওয়ালিতে দিল্লি - এনসিআর এলাকায় পরিবেশবান্ধব বাজি, বা গ্রিন বাজি পোড়ানোর অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানানো হয়েছিল। গত বুধবার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে অনুমতি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। দিওয়ালির আবহে দিল্লিতে দূষণ রোধে পুলিশ নিয়মিত নজরদারি চালিয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে বাজি বিক্রি ও পোড়ানো হচ্ছে কি না, তাও দেখা হচ্ছিল প্রতিটি এলাকায়। কোনও ই-কমার্স সাইটে সবুজ বাজি বিক্রি করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও নির্দেশ উড়িয়ে বাজি ফাটাতে দেখা গেছে উৎসবে মত্ত জনসাধারণকে।