দীপাবলির ছুটির শেষে টেট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পুনর্বিবচেনার আর্জি জানাবে রাজ্য
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২২ অক্টোবর ২০২৫
দেশের প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকদের টেট পাস করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত সেপ্টেম্বর মাসে এই নির্দেশ জারি করে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানাতে চলেছে রাজ্য। সেই সঙ্গে কর্মরতদের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়েও প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে রাজ্যের শিক্ষাদপ্তর। দীপাবলির ছুটি শেষ হলেই, টেট পাস না করা শিক্ষকদের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি রাজ্য জানাবে বলে খবর।
শীর্ষ আদালত গত সেপ্টেম্বর এই নির্দেশ দিয়েছিল। তারপর থেকেই জেলায় জেলায় কর্মরত প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকদের তথ্য চেয়ে পাঠায় শিক্ষাদপ্তর। দপ্তরের এক সমীক্ষায় প্রকাশ, রাজ্য সরকারের পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে কর্মরত প্রায় ৯০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা টেট উত্তীর্ণ নন। আদালতের নির্দেশের পর চাকরিত টেট না থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকারা চাকরি হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়, সারা দেশে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকারা টেট উত্তীর্ণ নন, তাঁদের সবাইকে দু’বছরের মধ্যে পরীক্ষায় পাস করতে হবে। নাহলে চাকরি ছাড়তে হবে এবং অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরের আবেদন জানাতে হবে।
তবে আগামী পাঁচ বছরে যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকারা অবসর নেবেন, তাঁদের এই নির্দেশের বাইরে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, ‘আদালতে আমরা যখনই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করব, তখনই শিক্ষাদপ্তরের কাছে যাবতীয় নথি চাওয়া হবে। সে জন্য আমরা শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করে রাখছি। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতিও সেরে রাখা হচ্ছে।‘
শিক্ষাদপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হবে। পরীক্ষা নেওয়ার মতো যদি পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার জন্য আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছি। সে কারণে এই সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরেই দেশের একাধিক রাজ্যে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানিয়েছে। অন্যদিকে তামিলনাড়ু সরকার কর্মরত শিক্ষকদের জন্য আগামী বছর তিন দফায় টেট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে।