বিধান সরকার: অমানবিক বললেও কম বলা হয়। পথ কুকুরদের উপর নারকীয় অত্যাচারের ঘটনা চুঁচুড়া ময়নাডাঙা এলাকায়। কান কেটে নেওয়া, লেজ কেটে নেওয়া, চোখে আঘাত করা এমনকি যৌনাঙ্গ কেটে দেওয়ার মত ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।ময়না ডাঙার চিকিৎসক দম্পতি পি কে ঘোষ রীনা ঘোষের বাড়িতে বেশ কয়েকটি পথ কুকুর আশ্রয় নিয়েছে। তাদের খাবার দেওয়া থাকা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন দম্পতি।
কালী পুজোয় শব্দ বাজির তাণ্ডবে এমনিতেই ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে চায়না সারমেয়রা। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক পি কে ঘোষ বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাড়িতে কুকুর আছে। আমি যেখানে যেখানে চেম্বার করি, সেখানেও অনেক কুকুর থাকে।এবং কুকুরগুলির জন্য আমি খাবার নিয়ে যাই। রাস্তার কুকুর হলেও তারা আমাদের বাড়িতে থাকে। গতকাল দেখলাম কুকুর গুলোর উপর অত্যাচার হয়েছে। অবলা জীব তাদের উপর কে বা কারা এমন করল জানিনা। তবে মানুষ এমন করতে পারেনা।'
পথ কুকুর বিড়ালদের নিয়ে কাজ করা চন্দননগরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঞ্চিতা পাল বলেন, 'আমরা মূলত রাস্তার অসুস্থ অত কুকুরদের নিয়ে কাজ করি। আমি খবর পেলাম চুঁচুড়ার ময়না ডাঙ্গায় এলাকার পাঁচটি কুকুরের উপর অমানুষিক অত্যাচার হয়েছে। কান-লেজ কেটে নেওয়া হয়েছে, চোখ তুলে নেওয়া হয়েছে, প্রাইভেট পার্ট কেটে দেওয়া হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'মানুষের কি হয়েছে জানিনা দিনের পর দিন এই অবলা জীব গুলোর উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। কিছুদিন আগে চন্দননগর লালবাগান এলাকায় একটি বাচ্চা কুকুরকে চোখের মধ্যে অ্যাসিড দিয়ে দেয়। পরে জানা যায় পাড়ারই একজন এই জঘন্য কাজটি করেছে। আমরা মানুষকে সচেতন করছি, তাও পশুদের উপর অত্যাচার বেড়ে চলেছে। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। অসুস্থ কুকুরগুলির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'
পি কে ঘোষ জানান, তাদের ওষুধের দোকান ল্যাবরেটরি আছে এবং তিনি নিজে যেহেতু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক তাই কুকুর আহত কুকুরগুলির চিকিৎসা তারা করছেন।