অয়ন ঘোষাল: উত্তর কলকাতার বলরাম ঘোষ স্ট্রিট। সেখানে ভট্টাচার্য পরিবারে এবার অন্নকূটের মহা আয়োজন। ভোগ বিতরণ করা হয় ১৫০০ জনকে। অন্নকূটে রয়েছে ২৫১ পদ। কী নেই সেখানে, রোজকার খাবার থেকে শুরু করে, ফুচকা, হাজমোলা পর্যন্ত হাজির অন্নকূটের আয়োজনে।
মা ঘরের মেয়ে। তাঁকে আপ্যায়ণ করতে কোনও খামতি রাখেনি ভট্টাচার্য পরিবার। বাড়ির কর্তা জানালেন, মিষ্টি রয়েছে ১৫০ রকমের। কলকাতার বিভিন্ন দোকানে অর্ডার দিয়ে তা আনানো হয়েছে। বাবা বলে গিয়েছেন সবকিছু। তিনি একটি খাতা করে গিয়েছেন। তাঁর আদেশ, এভাবেই যেন মায়ের মন্দিরে অন্নকূট হয়। সেটাই ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। হজমোলা থেকে শুরু করে পান, ফুটকা, কোল্ড ড্রিঙ্ক, আইসক্রিম রয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন রকমের মিষ্টি।
মোট ৬০ কিলো চালের অন্ন দেওয়া হয়। এই অন্ন রাত সাড়ে দশটা এগারোটা পর্যন্ত বিতরণ করা হয়। পোলাও হয় ১৫ কিলো চালের। নিরামিশ রান্না হয়ে ৭০-৮০ পদের। চাটনিই হয় ৭-৮ রকমের। সব ধরেনর মিষ্টি রয়েছে। চেষ্টা করা হয়ে মাকে সব রকম খাবার দিতে।
পরিবারের এক সদস্য অন্নকূট উপলক্ষ্যে কলকাতায় এসেছেন লন্ডন থেকে। তিনি বলেন, একসময় পড়াশোনার সূত্রে ছিলাম, এখন চাকরি সূত্রে রয়েছি। কেবলমাত্র এই অন্নকূটের জন্যই এসেছি। আমার কাছে দিওয়ালি এই অন্নকূট। আমাদের বাড়িতে এই প্রথা চলে আসছে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে।
এত পদ কী ভাবে রান্না করা হয়? ওই বিশাল আয়োজন করেন বাড়ির সদস্যরাই। যত্ন করে রান্না করে তা বিতরণ করা হয় মানুষের মধ্যে। গত কয়েক দশক ধরে এই রীতিতে ছেদ নেই।