অয়ন ঘোষাল, অশোক মান্না: স্থানীয় কালীপুজোর মণ্ডপের সামনে সেলিব্রেশন নাচানাচি চলছিল। হঠাৎ নিজেদের মধ্যে কোনও একটি বিষয় নিয়ে তীব্র বচসা। তার জেরে বরুণের বুকে লাথি। এরপর ক্রমাগত মার। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বরুণ। বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১ টার সময় ঘটে।
ঘটনাটি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা মহেশতলা ১৩ নম্বর ওয়ার্ড গোপালপুর মালিপাড়ার। গতকাল রাতে দুই ব্যক্তির মধ্যে বচসা শুরু হয় বরুন মণ্ডল ও চিরঞ্জিত মিত্রের মধ্যে। তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীর। গ্রামবাসীদের অভিযোগ বরুণ রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় এই ঘটনাটি ঘটে। এরপরেই চিরঞ্জিত মিত্র তার ভাই শুভঙ্কর মিত্র এবং তাদের তিনজনের মধ্যে বিবাদ চরম চরমে পৌঁছায়। এরপর চিরঞ্জিত মিত্র ও শুভঙ্কর মিত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলে বরুণ গুরুতর আহত হয়ে লুটিয়ে পড়ে।
এরপর জিনজিরা বাজার থানায় খবর দিলে জিন্দা বাজার থানার পুলিস এসে বরুণ মন্ডলকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে বরুণকে (৪১) মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপরে তদন্ত নামে মহেশতলা পুলিস। তবে তাদের মধ্যে কী কারনে এই গণ্ডগোল সূত্রপাত তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তে নেমেছে মহেশতলা থানার পুলিস। ইতোমধ্য়েই চিরঞ্জিত মিত্র ও শুভঙ্কর মিত্রকে আটক করেছে মহেশতলা থানা।
পুলিস সূত্রে খবর, গোটা ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চিরঞ্জিতই। কালকে মারধর করায় মূল ভূমিকা ছিল তারই। তবে ভাই শুভঙ্করের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। স্থানীয় লোকজন চড়াও হয়েছিল চিরঞ্জিতদের বাড়িতে, মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় শুভঙ্করের। পুলিস স্থানীয় মানুষদের ক্ষোভের মুখে দুই ভাইকেই আটক করেছে।