বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ভোটারদের পরিচয় যাচাইয়ে স্বচ্ছতা আনতে এবার ‘ই-সাইন’ প্রযুক্তি চালু করল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দাবি, এই ব্যবস্থা চালু হলে অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে ভুয়ো বা ভুলভাবে নাম তোলা বা মুছে দেওয়ার সম্ভাবনা কার্যত বন্ধ হবে।
অন্যদিকে, গত সেপ্টেম্বরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, অনলাইনে প্রায় ৬ হাজার ভোটারের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। তাঁর দাবি ছিল, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রকৃত ভোটারদের নাম ও তথ্য অপব্যবহার করে এই আবেদন জমা দেওয়া হচ্ছে। এমনকী, ফর্ম জমা দেওয়ার সময় ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরও প্রকৃত ভোটারদের ছিল না। এই বিতর্কের পরই নতুন পদক্ষেপ কমিশনের।
পোর্টাল ও অ্যাপে চালু হওয়া এই ‘ই-সাইন’ ব্যবস্থা ব্যবহার করা যাবে ভোটার তালিকার নতুন রেজিস্ট্রেশন, নাম বাদ দেওয়া বা সংশোধনের ক্ষেত্রে–অর্থাৎ ফর্ম ৬, ৭ ও ৮ পূরণের সময়। এবার থেকে আবেদনকারীকে তাঁর আধার-লিঙ্কযুক্ত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে পরিচয় যাচাই করতে হবে। প্রথমে ফর্ম পূরণের পর ই-সাইন সিস্টেম জানতে চাইবে, ভোটার কার্ড ও আধারে দেওয়া নাম এক কি না। এরপর আধারের সঙ্গে যুক্ত ফোন নম্বরে একটি ওটিপি যাবে। সেই ওটিপি দিয়ে যাচাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করলেই আবেদন গৃহীত হবে।
কমিশনের এক আধিকারিকের কথায়, “আগে যাচাই ছাড়াই কেউ আবেদন জমা দিতে পারতেন। এখন থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আধার-লিঙ্কযুক্ত ফোন নম্বর ছাড়া কোনও পরিবর্তন সম্ভব নয়। ফলে স্বচ্ছতা বাড়বে এবং জালিয়াতির সুযোগ কমবে।” কমিশন সূত্রে খবর, ই-সাইন প্রযুক্তির লক্ষ্য একটাই—ভোটার তালিকা আরও নির্ভুল, স্বচ্ছ ও নিরাপদ করা। এবার থেকে আর কেউ চাইলেই অন্যের নামে ফর্ম পূরণ করতে পারবেন না। ফলে রাজনৈতিক অভিযোগের মাঝেও নির্বাচন কমিশনের বার্তা স্পষ্ট, ভোটার তালিকার স্বচ্ছতার প্রসঙ্গে কোনও আপস নয়।