সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের গয়ার মাউন্টেন ম্যান দশরথ মাঝির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই? পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করে গোটা দেশের নজর কেড়ে নিয়েছিলেন। তাঁর পরিবার এখন রাজনীতিতে। দশরথ মাঝির ছেলে ভগীরথ মাঝি চলতি বছরের শুরুতেই কংগ্রেসে যোগ দেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই দলের কর্মকাণ্ডে তিনি হতাশ। ভগীরথের আশা ছিল, বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি টিকিট পাবেন। কিন্তু দল তাঁকে প্রার্থী করেনি। তাতেই চূড়ান্ত হতাশ ভগীরথ।
বিহারের গয়ার গেহলৌরের বাসিন্দা দশরথ মাঝি শুধু মাত্র একটি হাতুড়ি এবং ছেনি ব্যবহার করে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করেছিলেন।পাহাড় কেটে প্রায় ১১০ মিটার লম্বা এবং ৯ মিটার চওড়া রাস্তা করেন তিনি নিজের গ্রামকে গয়ার উজিরগঞ্জ ব্লকের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য। তাঁর সেই কীর্তি ইতিহাস হয়ে আছে। কিন্তু তারপরও দশরথের পরিবারের আর্থিক অবস্থা শুধরোয়নি। সেই কুঁড়ে ঘরেই দিন কাটছিল তাঁদের। ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন দশরথ মাঝির বাড়ি গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেন। রাহুলের উদ্যোগেই পাকা বাড়ি পান তাঁরা। আর্থিকভাবেও কংগ্রেস সাহায্য করে মাঝি পরিবারকে। খুশি দশরথ চলতি বছরের শুরুতে কংগ্রেসে যোগ দেন।
আশা ছিল কংগ্রেস থেকে তিনি টিকিট পাবেন। কিন্তু বিহারে আসনরফার জটিলতার জন্য টিকিট পাননি দশরথ মাঝির ছেলে। তাতে যে তিনি চূড়ান্ত হতাশ সেটা গোপন করেননি দশরথ। তিনি বলছেন, “আশা করেছিলাম দলের টিকিট পাব। কিন্তু পেলাম না। সবাইকে টিকিট দেওয়া হল আমাদেরই দেওয়া হল না।” ভগীরথ মাঝির আক্ষেপ, “খোদ রাহুল গান্ধী আশ্বাস দিয়েছিলেন টিকিট দেওয়ার। আমি দিল্লিতে গিয়ে চারদিন বসে ছিলাম। রাহুলের দেখাও পেলাম না। টিকিটও পেলাম না।”
কংগ্রেস সূত্র বলছে, ভগীরথকে টিকিট দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, এটা সত্যিই। কিন্তু, বিহারে অন্য জোট শরিকদের জন্য আসন ছাড়তে হওয়ায় ভগীরথকে টিকিট দেওয়া যায়নি। দল ভবিষ্যতে তাঁর কথা ভাববে।