• মাত্র ৪১৫! পাঞ্জাবে ৭০ শতাংশ কমেছে খড় পোড়ানো, সুখবর শোনাল আপ সরকার
    প্রতিদিন | ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আতশবাজির দৌরাত্ম্যে এখনও ভারী দিল্লির বাতাস। বুধবার সকালে রাজধানীর ঘুম ভেঙেছে ঘন ধোঁয়াশার মধ্যে। প্রতি বছর দিল্লির বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে আসে পাঞ্জাবে খড় পোড়ানোর ঘটনা। কিন্তু এই বছর কমেছে সেই সংখ্যা। জানা গিয়েছে, এই বছর ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ অক্টোবরের মধ্যে পাঞ্জাবে ৪১৫টি খড় পোড়ানোর ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের ১,৫১০টি খড় পোড়ানোর ঘটনার কথা জানা গিয়েছিল।

    পাঞ্জাব দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (পিপিসিবি) তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে এই সময়ের মধ্যে খড় পোড়ানোর সংখ্যা ছিল ১,৭৬৪টি। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কারণে ধান কাটতে দেরি হয়। পাঞ্জাবে বন্যার কারণে চাষের কাজে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ফসল কাটতেও দেরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই কারণেই এই সংখ্যা কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আধিকারিকদের দাবি, নজরদারি এবং সচেতনতা প্রসারও এতে প্রভাব ফেলেছে।

    পিপিসিবির তথ্য বলছে, এই বছর পাঞ্জাবে মোট ধান চাষের জমি ছিল ৩১.৭২ লক্ষ হেক্টর। ২১ অক্টোবর পর্যন্ত এই জমির ৩২.৮৪ শতাংশ ফসল কাটা হয়েছে। তরন তারান জেলায়, ধান চাষের জমির ৬৭.৯৫ শতাংশ ফসল কাটা হয়েছে। অমৃতসরের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৭০ শতাংশ। এই দুটি জেলায় সবথেকে বেশি খড় পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।

    অন্যদিকে, বারনালায় ধান চাষের জন্য জমির ৮.১০ শতাংশে চাষ হয়েছে। এরপরেই রয়েছে মোগা, ৮ শতাংশ এবং সাঙ্গরুরের ১৭ শতাংশ। জানা গিয়েছে, মোট খড় পোড়ানোর ঘটনার মধ্যে তরন তারানে ১৩৬টি, অমৃতসরে ১২০টি, ফিরোজপুরে ৪১টি, পাতিয়ালায় ২৭টি, গুরুদাসপুরে ১৬টি এবং সাঙ্গরুরে ১৪টি ঘটনা ঘটেছে। ১১ অক্টোবর পাঞ্জাবে খড় পোড়ানোর ঘটনা ঘটে ১১৬টি। আর পরের ১২ দিনে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ৪১৫।

    পাঞ্জাবে খড় পোড়ানোর ঘটনায় সরকার ফাইন করেছে অভিযুক্তদের। পাঞ্জাবে ২০২৪ সালে ১০,৯০৯টি এবং ২০২৩ সালে ৩৬,৬৬৩টি খড় পোড়ানোর ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এবছর এই সংখ্যা ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৯,৯২২টি, ২০২১ সালে ৭১,৩০৪টি, ২০২০ সালে ৭৬,৫৯০টি, ২০১৯ সালে ৫৫,২১০টি এবং ২০১৮ সালে ৫০,৫৯০টি ছিল।

    পাঞ্জাবের বেশিরভাগ জেলায় ধিরে ধিরে বাড়বে ফসল কাটার গতি। আগামী দিনে কৃষকরা গম চাষের জন্য তাদের ক্ষেত প্রস্তুত করবে। এই সমকালে খড় পোড়ানোর সংখ্যা আরও বাড়বে কিনা সেই দিকেই তাকিয়ে বিশেষজ্ঞরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)