সুমন করাতি, হুগলি: বাজি থেকে আগুন ধরে গিয়েছিল বিজেপি নেতার কাকার বাড়িতে। সেই আগুন নেভাতে ছুটে গেলেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এলাকার বিধায়ক। কালীপুজোর পরদিন এমন রাজনৈতিক সহাবস্থানের ছবিই ধরা পড়ল। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির খানাকুলে। আক্রান্ত ওই পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
কালীপুজো উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাজি পোড়ানো চলছে রাতে। মঙ্গলবার রাতে খানাকুলের রাজহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশালীর বেনাপুকুর এলাকাতেও বাজি পোড়ানো হচ্ছিল। ওই এলাকারই বাসিন্দা বিজেপির খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ মিঠুন সাঁতরার কাকা জয়দেব সাঁতরা। তাঁর বাড়ির সামনেই বাজি পোড়ানো হচ্ছিল। সেই বাজির আগুন কোনওভাবে গিয়ে পড়েছিল ওই বাড়িতে! খড়ের চালের বাড়ি হওয়ায় নিমেষে আগুন ধরে যায়। ওই বাড়ির বড় অংশ গ্রাস করে আগুনের লেলিহান শিখা। ক্রমে সেই আগুন আশপাশের পাঁচটি বাড়িতেও ছড়িয়ে গিয়েছিল!
খবর পেয়ে ছুটে যান তৃণমূলের খানাকুল ২ সমিতির তৃণমূল সদস্য নূর নবী মণ্ডল ও দলের অন্যান্য কর্মী-সমর্থকরা। স্থানীয়দের সঙ্গে তাঁরাও আগুন নেভাতে হাত লাগান। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকলে। প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। আগুনের ঘটনায় দু’জন জখম হয়েছেন। তাঁদের খানাকুল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন আরও দু’জন। খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য নূর নবী মণ্ডল বলছেন, “বাড়িটির খড়ের চাল। সেখানেই প্রথমে আগুন লেগে যায়। খবর পাওয়া মাত্রই আমরা সকলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়। পুলিশও কিছু সময়ের মধ্যে এসে যায়। আমরা ওই পরিবারের পাশে আছি।”