‘বেশ করেছি’, সোনারপুরে নাতনিকে খুনের পর হাসপাতালে ভাবলেশহীন দাদু!
প্রতিদিন | ২২ অক্টোবর ২০২৫
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সোনারপুরে চারবছরের নাতনিকে ‘খুনে’র পরও নির্বিকার দাদু। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে। “যা করেছি, বেশ করেছি।” হাসপাতালে বসে সেই কথাই বলেছেন অভিযুক্ত প্রণব ভট্টাচার্য! কোনও শিশুকেই তিনি পছন্দ করেন না! সেই কথাও শোনা যাচ্ছে। যদিও খুনের আসল কারণ কি? সেই বিষয়ে ধন্দে পুলিশ।
রবিবার সন্ধ্যায় সোনারপুরের কদমতলা এলাকা থেকে উদ্ধার হয় ওই শিশুটির দেহ। পরে ৮০ বছরের দাদুকে জেরা করতেই তদন্তের দরজা খুলে যায়। ওই বৃদ্ধই খুদে নাতনিকে ‘খুন’ করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে। তার ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয় দাদুকে। মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ওই বৃদ্ধ? সেই প্রশ্ন উঠেছে। অসুস্থ থাকার কারণে তাঁকে বারুইপুর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। বৃদ্ধকে ইতিমধ্যেই কয়েক দফায় জেরা করেছে পুলিশ। বৃদ্ধ খুনের কথা স্বীকারও করেছেন। অভিযুক্ত কিছুটা সুস্থ হলে ফের তাঁকে জেরা করা হবে বলে খবর।
হাসপাতালে ওই বৃদ্ধ অনুতাপহীন হয়ে রয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। “যা করেছি, বেশ করেছি।” সেই কথাও বলতে শোনা গিয়েছে! ওই খুদে দাদুকে বিরক্ত করত? সেজন্যই কি খুন করা হল? সেই প্রশ্ন উঠেছে। নাতনি কোনও কিছু নিয়ে দাদুর কাছে আবদার করলেই বৃদ্ধ খেপে যেতেন! শুধু তাই নয়, এলাকার কোনও বাচ্চার সঙ্গে নাতনিকে খেলতেও দেওয়া হত না! ছোট ছোট বাচ্চাদের দেখলেই মারধর করতেন ওই বৃদ্ধ! প্রতিবেশীদের একাধিক অভিযোগ সামনেও আসছে। ওই ছোট্ট শিশুর যে এমন নির্মম পরিণতি হবে, তা মানতে পারছেন না তাঁরা।
ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বাড়ির পরিচারিকা ও বৃদ্ধের স্ত্রীকে। ওই শিশুর বাবা সোনারপুর হাসপাতালে কর্মরত। মা একটি বেসরকারি বিপণীতে কাজ করেন। আর তাই ছোট্ট মেয়ে প্রত্যুষা সবসময়ের জন্য থাকত দাদু-দিদার কাছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে বেশ কিছু ফরেনসিক নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। যে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল সেটিরও খোঁজ চলছে।