• বাজি ফাটানোয় লাঠিচার্জ কোচবিহারের পুলিশ সুপারের, গ্রেপ্তার ১০ ‘প্রতিবাদী’, জামিন ৩ জনের
    প্রতিদিন | ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • বিক্রম রায়, কোচবিহার: কোচবিহারে পুলিশ সুপারের বাংলোর সামনে পথ অবরোধের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০। আজ বুধবার তাঁদের আদালতে তোলা হলে তিনজন মহিলার জামিন মঞ্জুর করে। তবে ঘটনায় পাঁচজনের পুলিশ রিমান্ড এবং দু’জনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় মানুষজন।

    ঘটনার সূত্রপাত কালীপুজোর রাতে বাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে। কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের বাংলোর বাইরে বেশ কয়েকজন বাজি ফাটাচ্ছিলেন। আর তাতে অসুবিধা হচ্ছিল তাঁর বাংলোয় থাকা পোষ্য কুকুরদের। এরপরেই রাগে রাস্তায় বেরিয়ে মহিলা ও শিশুদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, একেবারে হাফপ্যান্ট, গেঞ্জি এবং মাথায় ফেট্টি বেঁধে রাস্তায় বেরিয়ে যারা বাজি ফাটাচ্ছিলেন তাঁদের উপর বেধড়ক লাঠিচার্জ পুলিশ সুপার করেন পুলিশ।

    ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিশু এবং মহিলা আহত হন। শরীরের একাধিক জায়গায় চোট লাগে। ঘটনার পরেই পুলিশ সুপারের বাড়ির সামনে অর্থাৎ কোচবিহার শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রেল গুমটি এলাকায় অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষজন। যা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরেই ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। ঘটনায় এক আইনজীবী মহিলা-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তিনজন মহিলার জামিন মঞ্জুর হলেও পাঁচজনের পুলিশ রিমান্ড এবং দু’জনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা এলাকায়।

    ঘটনায় মঙ্গলবারেই কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য সাফাই দিয়ে জানান, ”রাত একটা পর্যন্ত বাজি ফাটানো চলছিল। বারবার বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু কেউ শোনেননি।” তবে মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি করেন পুলিশকর্তা। অন্যদিকে ঘটনার একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে জেলা পুলিশ সুপারকে হাফপ্যান্ট ও গেঞ্জি পরে দেখা যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, মাথায় রয়েছে ফেট্টি। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
  • Link to this news (প্রতিদিন)