• রাজ্যজুড়ে ছাদ রেস্তরাঁ নিয়ে কড়া প্রশাসন, ফের শুরু হবে সমীক্ষা
    প্রতিদিন | ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: উৎসব শেষে ফের রুফটপ রেস্তরাঁর হাল বুঝতে রাজ্য জুড়ে সমীক্ষা শুরু করবে পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসন। পুজোর মধ্যেই নগরোন্নয়ন দপ্তরে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। দপ্তরের কর্তাদের অভিমত, এসওপি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রায় তিন মাস সময় শেষ হতে চলল। এবার সরকারি নির্দেশ মেনে কাজ শুরু করতেই হবে। আগামী সপ্তাহে নবান্নের সঙ্গে আলোচনা করে জেলাগুলির থেকে ছাদ রেস্তরাঁর তথ্য নেওয়া হবে।

    কেএমডিএ সূত্রে খবর, কালীপুজো, ভাইফোঁটা উপলক্ষে সল্টলেক পুর এলাকায় ১৯-২৩ তারিখ পর্যন্ত ছাদ রেস্তোরা খোলার সময় কমানো হয়েছে। কেএমডিএ সূত্রে খবর, নিউটাউন, রাজারহাট, সল্টলেক, লেকটাউন এলাকায় অধিকাংশ বহুতলের ছাদে রেস্তরাঁ চলে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট থেকে এই তথ্য পেয়েই পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর বিধাননগর কর্পোরেশনকে বিষয়টি জানায়। এরপরেই ঠিক হয় নিরাপত্তার স্বার্থে ১৯-২৩ তারিখ পর্যন্ত সন্ধ্যা ছ’টার পর কোনও রুফটপ রেস্তরাঁ খোলা থাকবে না। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের এক কর্তার কথায়, “প্রথম দফায় সাতটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন কয়েকটি জেলাকে আওতায় আনা হবে। ক্রমশ রাজ্যের সব পুর ও পঞ্চায়েত এলাকায় নিয়ম বলবৎ হবে।”

    ওই আধিকারিকের কথায়, কলকাতায় ৮২টি রুফটপ রেস্তরাঁর মধ্যে মাত্র ২১টি মুচলেকা দিয়ে তিন মাসের জন্য খুলেছিল। বাকিগুলি কী অবস্থায় তা জানতে আগামী সপ্তাহে পুর লাইসেন্স, দমকল ও কলকাতা পুলিশের সংশ্লিষ্ট থানা পথে নামবে। রাজ্য সরকারের থেকে এসওপি না মানা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইভাবে বিধাননগর, দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি পুরসভার থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ছবি-সহ সেই তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক ও দমকলের দপ্তরে জমা দিতে হবে। জেলাগুলিকে পাঠানো এসওপিতে বলা হয়েছে, কোনও ছাদ রেস্তরাঁয় আগুন জ্বালানো যাবে না। ছাদ খোলা রাখতে হবে। ছাদের সিঁড়িতে কোনও গ্যাস সিলিন্ডার রাখা যাবে না। ছাদের দরজা সব সময় খোলা রাখতে হবে। অগ্নিকাণ্ড ঘটলে যাতে অন্য সিঁড়ি বা ছাদে বাইরে থেকে মই দিয়ে আটকে থাকা লোকজনকে বের করা যায় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ ও সময় দেওয়া হবে। জানুয়ারির আগেই এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে চায় রাজ্য প্রশাসন।

    পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের এক কর্তার কথায়, “জেড যুগে দ্রুত নগরায়ণ হচ্ছে। এখন পঞ্চায়েত এলাকায় হোটেল, রেস্তরাঁ তৈরি হচ্ছে। স্বাভাবিক নিয়মেই রুফটপ রেস্তরাঁও তৈরি যে হচ্ছে না এমনটা সমীক্ষা না করে বলার জায়গা নেই। তাই সব জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এইসব তথ্য মানার পরেই পুরসভা বা পঞ্চায়েত লাইসেন্স দেবে। পাশাপাশি চলবে সারপ্রাইজ ভিজিট। কেএমডিএ-র এক কর্তার কথায়, অনেক সময় দেখা যায় লাইসেন্স নেওয়ার পর সরকারি নিয়মকে লঙ্ঘন করার প্রবণতা দেখা যায়। তাই ন্যূনতম বিচ্যুতি দেখলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)