মনোজ মন্ডল: উৎসবের আনন্দ মুহূর্তে থমকে গেল! ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে কটুক্তির শিকার হলেন এক যুবতী ও তাঁর বন্ধু। প্রতিবাদ করতে গিয়ে শারীরিক নিগ্রহের মুখে পড়লেন মেডিকেল কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া এলাকায়, মঙ্গলবার রাতে। আক্রান্তের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের আচরণ ছিল 'উৎসবের রাতে গণ্ডগোল পাকানো'। পুলিসে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তদন্ত শুরু করেছে গাইঘাটা থানা।
কী ঘটেছিল সেদিন রাতে?
মঙ্গলবার রাতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডাঃ সুমন সাহার মাসতুতো বোন অংশুমিতা পাল ও তাঁর এক বন্ধু ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। বাড়ি থেকে কিছুটা এগোতেই কয়েকজন যুবক তাঁদের উদ্দেশে অশ্লীল মন্তব্য করতে শুরু করে। প্রথমে তাঁরা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও, পরিস্থিতি ক্রমে হাতের বাইরে চলে যায়। যুবকরা শারীরিকভাবে হেনস্থা করে বলেও অভিযোগ।
বোনের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ডাঃ সুমন সাহা। অভিযোগ, বোনকে রক্ষা করতে গেলে তাঁকেও ঘিরে ধরে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় অধ্যাপককে।
খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গাইঘাটা থানার পুলিস। তবে তার আগেই চম্পট দেয় অভিযুক্ত যুবকের দল। পরবর্তীতে আক্রান্ত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস জানিয়েছে, 'অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।'
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, টওই এলাকা বরাবরই বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। রাতে মেয়েদের একা বাইরে বেরনো যায় না। পুজোর সময়েও পুলিসি টহলের ঘাটতি ছিল।'
এই ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, 'একজন সরকারি চিকিৎসক, কলেজের অধ্যাপক যদি এইভাবে আক্রান্ত হন, তাহলে সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপদ?' এক প্রতিবেশীর কথায়, 'উৎসবের রাতেও যদি এমন নিরাপত্তাহীনতা থাকে, তা হলে তো চরম দুশ্চিন্তার বিষয়।' পুলিস অবশ্য জানিয়েছে, তদন্ত চলছে, শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।
এর আগেও শহরে যুবতী শ্লীলতাহানি শিকার হয়েছে। নামজাদা এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্ট ফিল্ম বিভাগের শিক্ষিকা তথা অভিনেত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল তিন যুবকের বিরুদ্ধে । বুধবার ভোরে এই ঘটনাটি ঘটেছে যাদবপুর থানা এলাকার সুলেখা মোড়ে । লালবাজার সূত্রে খবর, এই ঘটনায় যুবতীর বিরুদ্ধে পালটা অভিযুক্তদের তরফে মামলা করা হয়েছে । গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে যাদবপুর থানার পুলিস ।
এই বিষয়ে কলকাতা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, 'এই ঘটনায় উভয় পক্ষের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে । শ্লীলতাহানি ও মারধর, প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ রয়েছে । তদন্ত চলছে ৷'