• ‘একটা টাকাও বরাদ্দ করা হয়নি’, উত্তরবঙ্গের বন্যায় কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব তৃণমূল
    প্রতিদিন | ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল বর্ষণ এবং ভুটান থেকে ধেয়ে আসা জলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গ।  বিপর্যয় কাটিয়ে সেরে উঠেছে পাহাড়। কিন্তু এজন্য কেন্দ্রের তরফে কোনও সাহায্যই করা হয়নি। এই নিয়ে আগেই সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে ফের একবার বঞ্চনার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে একহাত নিল তৃণমূল কংগ্রেস। সমাজমাধ্যমে শাসকদলের দাবি, মহারাষ্ট্র, কর্নাটকে দুর্যোগ পীড়িত এলাকার জন্য দরাজহস্ত হলেও, বাংলা ফের বঞ্চিত।

    এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে ট্যাগ করে তৃণমূলের অভিযোগ, এ রাজ্যের জন্য কোনও টাকাই বরাদ্দ করেনি রাজ্য। শাসক দলের তরফে লেখা হয়েছে, ‘ভয়ঙ্কর বন্যা এবং ভূমিধসের কবলে উত্তরবঙ্গ। জীবন, ঘরবাড়ি এবং জীবিকা সম্পূর্ণ ধূলিস্যৎ হয়ে গিয়েছে। সেই সময়েও কেন্দ্র একেবারে নীরব। এক টাকাও রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করা হয় হয়নি।” কিন্তু মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের বন্যা মোকাবিলায় দ্রুত ১,৯৫০.৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাংলার দাবিকে ঠান্ডা ঘরে রেখা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের।

    শুধু তাই নয়, তৃণমূলের অভিযোগ, ২০২১-এ বিজেপিকে বাংলায় যেভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল, তারই প্রতিশোধ নিতে এহেন ব্যবস্থা করছেন মোদি-শাহ। তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্র এসডিআরএফ থেকে ১৩,৬০৩.২০ কোটি টাকা ও এনডিআরএফ থেকে ২,১৮৯.২৮ কোটি টাকা দিয়েছে অন্যান্য রাজ্যকে। আর বাংলাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

    তৃণমূলের কথায়, শাসনের নামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দিল্লির সরকারকে বাংলা বিরোধী জমিদার বলেও সমাজমাধ্যমে কটাক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের। তাদের দাবি, বাংলার মানুষ‌ই আগামী নির্বাচনে ভোট বাক্সে এর জবাব দেবে।

    বলে রাখা প্রয়োজন, সম্প্রতি বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্র ও কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে বর্ষাজনিত বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর অনুমোদনে কেন্দ্রের সরকার ১,৯৫০.৮০ কোটি টাকার ত্রাণ ঘোষণা করেছে। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রকে দেওয়া হয়েছে ১,৫৬৬.৪০ কোটি টাকা এবং কর্নাটক পেয়েছে ৩৮৪.৪০ কোটি টাকা। বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্র সরকার বন্যা, ভূমিধস ও মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিকে সর্বতোভাবে সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু সেখানেও কোথাও বাংলার নাম ছিল না। এরপরেই সমাজমাধ্যমে গর্জে উঠল শাসকদল তৃণমূল। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)