এসআইআরের আগেই CAA নিয়ে জোর তৎপরতা বিজেপির, ৩ মাসের টার্গেট দিল্লির
প্রতিদিন | ২৩ অক্টোবর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: সাংগঠনিক লড়াইয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে পেরে ওঠা সম্ভব নয়। তাই ভোটের আগে সেই হিন্দুত্বকেই হাতিয়ার করতে মাঠে নেমে পড়ল বিজেপি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) লক্ষ্যপূরণের কৌশল নিয়েই এ রাজ্যে অভিযানে নামছে পদ্ম শিবির। ভোটার তালিকার এসআইআরের আগেই যত বেশি সম্ভব সিএএ-তে নাগরিকত্বের আবেদন করানো যায়, সেদিকে নজর দিতে বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি। লক্ষ্য একটাই, সিএএ-র আওতায় দ্রুত যত বেশি সম্ভব উদ্বাস্তুকে নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়া যায়।
সিএএ নিয়ে বুধবার সল্টলেকে দীর্ঘ বৈঠক করেছে বঙ্গ বিজেপি।
বৈঠকে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষের উপস্থিতিতে চলল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সামনে রেখে রাজ্যে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য দলীয় প্রস্তুতি। এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সন্তোষ বঙ্গ বিজেপি নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন, সীমান্তবর্তী, মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় সিএএ ক্যাম্প, প্রচার ও যত বেশি সম্ভব আবেদন করানো যায়, সে বিষয়ে জোর দিতে হবে। এজন্য মন্ডল স্তর থেকে চালাতে হবে কাজ, মনিটরিংয়ের জন্য তৈরি করতে হবে ৪-৫ জনের টিম, কেন্দ্রকে পাঠাতে হবে ক্যাম্পের সংখ্যা, তার ফিডব্যাকের খতিয়ান নিয়ে রিপোর্ট।
সিএএ নিয়ে বিজেপির তৎপরতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘ভোটের আগে প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। মানুষকে নিয়ে রাজনীতি। ভয় দেখানো হচ্ছে।’’ কুণালের কথায়, ‘‘আসল কথা হচ্ছে উন্নয়ন ১০০দিনের টাকা দেবে না, আবাসের টাকা দেবে না। ওরা ক্যাম্প করার কে? মানুষ তো ওদের নিয়ে প্রশ্ন করছে। সেসব এড়াতেই এসব বলছে।’’ তৃণমূল মুখপাত্র আরও বলেন, ‘‘বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের চেষ্টা করছে। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। যথাসময়ে দল জানিয়ে দেবে।’’ অন্যদিকে, এদিন বিজেপির বৈঠকের পর জানা গিয়েছে, আগামী তিন মাস সিএএ নিয়েই মাঠে থাকতে বলা হয়েছে দলের নেতাদের। ৭০০-র বেশি ক্যাম্প করতে বলা হয়েছে। উদ্বাস্তু এলাকায় বেশি করে করতে হবে। বাধা এলে প্রতিরোধ করতে হবে। কিছু নিদিষ্ট ফোন নম্বরে জানাতে হবে , কারা কোথায় প্রতিরোধ করছে। এদিন বৈঠকে সন্তোষ ছাড়াও ছিলেন অমিত মালব্য, অমিতাভ চক্রবর্তী, জগন্নাথ সরকার, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও বনগাঁ ও নদিয়ার বিধায়করা। ছিলেন অসীম সরকার, অসীম বিশ্বাস, পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, আশিস কুমার বিশ্বাস, বঙ্কিম ঘোষ, সুব্রত ঠাকুর, অশোক কীর্তনিয়া, স্বপন মজুমদার প্রমুখ বিধায়করা।