• লোকপালের বিএমডব্লু টেন্ডারের ইস্যুতে সরব বিরোধীরা, ‘শখপাল’ বলে কটাক্ষ
    বর্তমান | ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: প্রতিষ্ঠার শিকড় লুকিয়ে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে। আর্থিক অনিয়ম রোধের সর্বোচ্চ নজরদার তারা। আর সেই লোকপালই যেভাবে সাত সদস্যের জন্য বিলাসবহুল মহার্ঘ  বিএমডব্লু গাড়ি কেনার টেন্ডার ডেকেছে, তা নিয়ে সুর চড়াল বিরোধীরা। বুধবার এই ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ চালিয়েছে বিরোধী দলগুলি। কারও কটাক্ষ ‘শখপাল’, কেউ আবার ‘জোকপাল’ বলে ঠেস দিয়েছে।

    ৭০ লক্ষ টাকা দরে মোট সাতটি বিএমডব্লু কেনার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে লোকপালের তরফে। অর্থাৎ, ৫ কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে দুর্নীতি রোধে দেশের সর্বোচ্চ নজরদার সংস্থা। এদিন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ লোকপালকে ‘শখপাল’ করে কটাক্ষ করেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের তদন্ত ও গ্রেফতারির হতাশাজনক রেকর্ড নিয়ে প্রশ্নও তোলেন তিনি। জয়রাম বলেন, মনমোহন সিং সরকারের বিরুদ্ধে (দুর্নীতি ইস্যুতে) মিথ্যা ধারণা তৈরি করা হয়েছিল। আন্না হাজারে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ইন্ডিয়া এগেনস্ট কোরাপশন ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ মিলিতভাবে অপপ্রচার চালিয়েছিল। লোকপালের বাস্তব চেহারাটা এখন দেশবাসীর কাছে স্পষ্ট। লোকপাল এতদিনে কী তদন্ত করেছে, কতজনকে গ্রেফতার করেছে, সেই প্রশ্ন তোলাটা আবশ্যিক হয়ে পড়েছে।

    কংগ্রেসের মতোই লোকপাল ইস্যুতে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। দলের রাজ্যসভার সদস্য সাকেল গোখেল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘লোকপালের বিলাসিতা! বার্ষিক বাজেট ৪৪.৩২ কোটি টাকা। লোকপাল এখন সব সদস্যের জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা দিয়ে সাতটি বিলাসবহুল বিএমডব্লু কিনছে। এটা তাদের বার্ষিক বাজেটের ১০ শতাংশ। দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা হওয়া উচিত ছিল লোকপাল। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্ত লোকপালের বিরুদ্ধে কে তদন্ত করবে?’ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আন্দোলন থেকে লোকপালের উৎপত্তির কথা স্মরণ কারিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেবের তোপ, নরেন্দ্র মোদির সরকার অনবরত লোকপালকে দুর্বল করে তোলার কাজ চালিয়ে গিয়েছে। তোপ দেগেছেন শিবসেনা (ইউবিটি) সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীও। এক্স হ্যান্ডলে তাঁর ঠেস, ‘ভারতীয় করদাতাদের টাকায় অদ্ভুত জোকপাল। ওহ, প্রসঙ্গক্রমে বলি ভারত সরকার স্বদেশি পণ্যের যে ডাক দিয়েছে তার কী হল?’ অন্য একটি পোস্টে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে উদ্ধব থ্যাকারের দলের এই নেত্রী লিখেছেন, ‘দুর্নীতি দমন করে দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতার লক্ষ্যে লোকপাল তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু কালক্রমে এই সংগঠনই নৈতিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। মহুয়া মৈত্রের ববি ব্রাউন লিপস্টিক, হার্মিস স্কার্ফ নিয়ে তদন্ত করা থেকে বিলাসের জন্য বিএমডব্লু কিনতে চাওয়া— সেই কারণেই আমি জোকপাল বা লোলপাল বলে ডাকি।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)