পাটনা: ভোটের ময়দানে প্রতিশ্রুতির বন্যা! এর আগে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের আশ্বাস ছিল, বিহারে সরকার গড়লে প্রতি পরিবার থেকে অন্তত একজনের সরকারি চাকরি পাকা। বুধবার তাঁর নতুন প্রতিশ্রুতি, ক্ষমতায় এলে চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মীদের চাকরি স্থায়ী করে দেওয়া হবে। স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হবে আশা, অঙ্গনওয়াড়ি এবং ‘জীবিকা দিদি’র মতো প্রায় দু’লক্ষ কর্মীকেও। ‘জীবিকা দিদি’দের বেতন হবে ৩০ হাজার টাকা। মহিলাদের মনজয়ে এদিন ‘মা ও বেটি’ প্রকল্পের আশ্বাস দিয়েছেন তেজস্বী। এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, বাড়ি,অন্ন ও আয়-মিলিয়ে ‘মা’ এবং সুবিধা, শিক্ষা ও রোজগার মিলিয়ে ‘বেটি’।
লালু-পুত্রের দরাজ প্রতিশ্রুতিসত্ত্বেও বিরোধী মহাজোট শিবিরের জট সেই তিমিরেই। আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে অন্তত আটটি আসনে মহাজোটের শরিকদের মধ্যেই লড়াই হতে চলেছে। এর মধ্যে পাঁচটি আসনে ভোট প্রথম দফায়। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার জন্য মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তার আগে মতবিরোধ কাটাতে পাটনায় এসে আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা অশোক গেহলট। কিন্তু সমাধানসূত্রে মিলল কী? স্পষ্ট নয়। তেজস্বীকে মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণায় কংগ্রেস কি রাজি হল? সরাসরি জবাব এড়িয়ে গেহলট বলেন, ‘আপনারা কি চান সেই ঘোষণা আমি করি? দু’মাস আগে ভোটার অধিকার যাত্রার সময় রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের রসায়ন আপনারা সবাই দেখেছেন। দুই নেতা একসঙ্গে গোটা বিহার ঘুরে বেড়িয়েছেন। তাঁরা সঠিক সময়ই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’ তবে গেহলট যাই বলুন, তাতে এনডিএ শিবির থেকে ধেয়ে আসা কটাক্ষ বন্ধ হচ্ছে না। আরজেডি, কংগ্রেস ও বাম শিবিরের এই অনৈক্যের ছবিকে হাতিয়ার করেই এনডিএ নিয়ম করে ঠেস দিচ্ছে।
লালুর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে এদিন গেহলট বলেন, পাঁচ-দশটা আসনে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ বড় কোনও বিষয় নয়। লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে বলেই আমাদের আশা। আর লালুপ্রসাদের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা বলেন, মহারাষ্ট্রের হারের কথা মাথায় রেখে বিহার ভোটে জেতাটা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিহারের নির্বাচন জাতীয় রাজনীতির দিশা নির্দেশ করবে। সমাজে বিভাজন সৃষ্টিকারী ও অর্থনাীতির ধ্বংসকারী এনডিএকে ধাক্কা দেওয়াটা খুব দরকার। আপাতত দুই শরিক দলের তরফেই ইঙ্গিত, আগামীকাল যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে সব কিছু স্পষ্ট করে দেওয়া হবে।