নিয়োগ হবে ২০০টিরও বেশি বিধানসভা কেন্দ্রে, এবার গ্রাউন্ড রিপোর্ট পেতে মহিলা বিস্তারক নামাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি
বর্তমান | ২৩ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আগামী বছর বাংলায় গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভোট প্রস্তুতিতে দিশাহারা অবস্থার ছবি ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। সম্ভাব্য ‘মুখ্যমন্ত্রী মুখ’ নিয়ে যেমন তারা কোনও ঐকমত্য পারছে না, তেমনই এখনও তৈরি হয়নি বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি। ফলে বাংলায় ‘গ্রাউন্ড রিপোর্ট’ পেতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে দলীয় নেতৃত্বকে। অথচ নির্বাচনী প্রস্তুতিতে তৃণমূলস্তরের এই সাংগঠনিক হালহকিকত জানা যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছেই অত্যন্ত জরুরি। আর সেই দৌড়েই পিছিয়ে বঙ্গ বিজেপি। অন্তত এমনই দাবি দলীয় সূত্রে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ‘গ্রাউন্ড রিপোর্ট’ পেতে বাংলায় মহিলা বিস্তারকদের উপরেই সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছে গেরুয়া শিবির।
রাজনৈতিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজ্যে প্রায় ২০০ জন মহিলা বিস্তারক নিয়োগ করবে বিজেপি। সাধারণ মানুষ এবং দলের তৃণমূলস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁদের কাছ থেকে বিজেপির প্রকৃত সাংগঠনিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হবেন। তৃণমূলস্তরে দলের কোন নেতার কী প্রভাব, কার কেমন ভাবমূর্তি—সেই বিষয়ে খোঁজ নেবেন ও প্রতিদিন রিপোর্ট পাঠাবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতাদের। প্রধানত তার উপর ভিত্তি করেই বাংলায় চূড়ান্ত নির্বাচনী যুদ্ধে ঝাঁপাবে গেরুয়া শিবির। তৈরি হবে বঙ্গ বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকাও। ইতিমধ্যেই অবশ্য পুরুষ বিস্তারকদের এই সংক্রান্ত কাজে শামিল করেছে বিজেপি। তাঁদের সঙ্গেই এবার জুড়ে দেওয়া হবে মহিলা বিস্তারকদেরও। যদিও তারা কেউই একে অন্যের কাজে কোনওরকম বাধা দেবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছে বিজেপি।
দলীয় সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট মহিলা বিস্তারক যে বিধানসভা আসনের ভোটার, তাঁকে সেই কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হবে না। অন্য বিধানসভা এলাকায় কাজে লাগানো হবে। চলতি সপ্তাহেই কলকাতায় পুরুষ বিস্তারকদের একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি রয়েছে। তা শেষ হলে মহিলা বিস্তারকদের নিয়োগ করে দায়িত্ব বণ্টন করবে বিজেপি। মনে করা হচ্ছে, নভেম্বরের গোড়াতেই তাঁরা ময়দানে নামবেন। এই ব্যাপারে বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, যে কোনও নির্বাচনী প্রস্তুতিতেই গ্রাউন্ড রিপোর্ট হাতে পাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। নাহলে চূড়ান্ত সময়ে সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব হয় না। সবদিক বিবেচনা করেই দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে।