• মেহুল চোকসির অজুহাত খারিজ, ভারতে প্রত্যর্পণের অনুমতি দিল বেলজিয়ামের কোর্ট
    বর্তমান | ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: ভারতে অমানবিক আচরণ, অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হবে। প্রকৃত চিকিৎসাও মিলবে না। জেলের পরিকাঠামোও অত্যন্ত খারাপ। প্রত্যর্পণ ঠেকাতে বেলজিয়াম আদালতে এমনই সব যুক্তি খাড়া করেছিলেন পিএনবি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পলাতক হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। কিন্তু, তাঁর কোনও ‘অজুহাত’ কাজে এল না। বেলজিয়ামের আদালত সাফ জানিয়েছে, মেহুলকে ভারতে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি নেই। অভিযুক্তের তরফে যে সমস্ত যুক্তি দেওয়া হয়েছে, তার পক্ষে যথাযথ প্রমাণ মেলেনি। তাই তাঁকে ভারতে ফেরাতে কোনও আইনি বাধা নেই। এর ফলে ১৩ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক প্রতারণা ও ঋণ খেলাপের মামলায় অভিযুক্ত মেহুলকে দেশে ফেরানোর পথ সুগম হল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। 

     বেলজিয়াম আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, মেহুলের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, ভুয়ো নথি ব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে ভারত। বেলজিয়ামের আইন অনুযায়ীও এগুলি গুরুতর অপরাধ। 

    ১৩ হাজার কোটি আর্থিক দুর্নীতির পর ২০১৮ সালে দেশ থেকে পালিয়ে যান মেহুল। তাঁকে দেশে ফেরাতে ময়দানে নামে সিবিআই, ইডি ও র। উল্লেখ্য, প্রত্যর্পণ ঠেকাতে ভারতের জেলের বেহাল অবস্থার কথা আদালতে উল্লেখ করেছিলেন পলাতক ব্যবসায়ী। পাল্টা মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলের ১২ নম্বর বারাকের ছবি ও পরিষেবা কোর্টে তুলে ধরে ভারতীয় এজেন্সিরা। বলা হয়, প্রত্যর্পণের পর এখানেই রাখা হবে মেহুলকে। ৪৬ স্কোয়ার মিটার বারাকের দু’টি সেল রয়েছে। তাতে ব্যক্তিগত বাথরুম ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এগুলি দেখার পর জেলের বেহাল অবস্থার অভিযোগও খারিজ করে দেয় আদালত। ফলে প্রত্যর্পণের পর আর্থার রোডের জেলেই ঠাঁই হতে চলেছে মেহুলের। -ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)