জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রতাপগড় গরফায় পাল পরিবারে ৩৫০ বছরের পুরনো কালীপুজোর ধুমধাম উদযাপন।
প্রতাপগড় গরফার পাল পরিবারে এবছরও অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হল ঐতিহ্যবাহী কালীপুজো। এই পুজোর বিশেষত্ব শুধু আচার-অনুষ্ঠানে নয়, এর শিকড় গেঁথে রয়েছে ইতিহাসে। পাল পরিবারের কালীপুজো ৩৫০ বছর আগে শুরু হয়েছিল অবিভক্ত ভারতের ফরিদপুর (বর্তমানে বাংলাদেশ)-এ। সেই সময় পাল পরিবারের পূর্বপুরুষরা সেখানে এই পুজোর সূচনা করেন, যা কালক্রমে এক বিশাল পারিবারিক ও সামাজিক উৎসবে পরিণত হয়।
পূর্ববঙ্গে এই পূজার প্রচলন করেন এই পরিবারের পূর্বপুরুষ শ্রী চন্দ্র শেখর পাল। দেশভাগের পর, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পরই, পাল পরিবার এই বঙ্গে চলে আসে। তথাপি এই পুজো অব্যাহত রয়েছে। গত ৭৫ বছর ধরে এই বঙ্গে, বরুণ কুমার পাল, তপন কুমার পাল ও রবিন কুমার পাল এই ঐতিহ্যকে আগলে রেখে নিয়মিতভাবে কালীপুজো করে আসছেন।
পাল পরিবারের বর্তমান সদস্যের কাছে এই পুজো শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি তাঁদের পূর্বপুরুষদের স্মৃতি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক এবং আগামী প্রজন্মের কাছেও এই ঐতিহ্য তুলে দিতে তাঁরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমানে এই পুজো পালিত হয় পারিবারিক বাড়ির আঙিনায় নির্মিত একটি মন্দিরে, যেখানে পরিবারের সদস্যরাই ভক্ত হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ও মায়ের আরাধনায় মগ্ন থাকেন।পুজোর প্রাঙ্গণে ভক্তদের উপস্থিতি, ঢাকের বাদ্যি, আরতিতে মুখর পরিবেশ, ও প্রাচীন পদ্ধতিতে মায়ের আরাধনা — সব মিলিয়ে এই থাকে পূজার উপপাদ্য।
এইভাবেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পাল পরিবার কালীপুজোর মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে, যা আজও তাদের আত্মপরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।