• ‘বড়মা দর্শনে ভক্তদের দুর্ভোগ হয়নি’, অভিযোগ উড়িয়ে দাবি বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের
    প্রতিদিন | ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: নৈহাটির বড়মা দর্শনে আসা ভক্তদের দুর্ভোগের খবর ভিত্তিহীন। মঙ্গলবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বড়মার দর্শনে আসার পর সংবাদমাধ্যমের একাংশ দুর্ভোগের বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ করে। এরপরই সমাজমাধ্যমে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের তরফে জানানো হয়, ‘নৈহাটির বড়মা মন্দিরে প্রতিদিন লক্ষাধিক ভক্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে দর্শন করছেন। জনসমাগম ও চলাচল নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে চরম ভিড়ের সময়েও ভক্তদের চলাচল স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রিত থাকে। কারোর কোনো অসুবিধা না হয়। তবুও দেখা যাচ্ছে, কিছু ছবি সচেতনভাবে বেছে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বাস্তব পরিস্থিতির সম্পূর্ণ বিপরীত। ভুল তথ্য প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

    এনিয়ে নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক সনৎ দে বলেন, “একটি সংবাদমাধ্যম অসত্য খবর পরিবেশন করে জানায়, দর্শনার্থীদের অসুবিধায় ফেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো দিয়েছেন। আমি এর প্রতিবাদ করছি। স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বলছি, কোন ভক্তের বড়মা দর্শনে অসুবিধা হয়নি।” এবছর বড়মার পুজো ১০২ বছরে পদার্পণ। বেড়েছে ভক্ত সমাগমও। জাঁকজমক থেকে নিয়মের কড়াকড়ি, এবছর আরও বেশি ছিল।

    ‘বড়মা’র মাহাত্ম্যের টানে দূরদূরান্তের দর্শনার্থীরা ভিড় জমান। কী মাহাত্ম্য? অনেকেই শনি দেবতাকে ‘বড় ঠাকুর’ বলে থাকেন। তেমনি নৈহাটির বড়মার নামকরণ হয়েছে বিশেষ কারণে। এই কালী মূর্তির উচ্চতা প্রায় ২২ ফুট। তাই তাঁর নাম ‘বড়মা’। খুব জাগ্রত বলে মুখে মুখে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে কাছ থেকে দূর, আরও দূরে। তিথি ও রীতি মেনে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন নৈহাটিতে বড়মার মন্দিরে দেবীর কাঠামো পুজো হয়। এবছর নৈহাটির শিল্পী শুভেন্দু সরকার ‘বড়মা’র প্রতিমা তৈরি করেন। কালীপুজোর দিন সুউচ্চ ‘বড়মা’কে সোনা ও রুপোর গয়না দিয়ে সাজানো হয়। এই মূর্তির পাশাপাশি ২২ ফুট উঁচু বড়মার মূর্তিও পুজো করা হয়।

    বড়মার মন্দিরে ফি দিন পূজার্ঘ্য হিসেবে প্রচুর ফুল, ফল, কাপড় এখানে জমা পড়ে। কালী প্রতিমা রোজ সেজে ওঠেন ভক্তদের দেওয়ায় নানারকম সামগ্রীতে। ২০২৩ সালে বড়মার মন্দির নতুন করে সংস্কারের পর থেকেই ভক্ত সমাগম বেড়েছে সেখানে। প্রতি মঙ্গলবার এবং শনি-রবিবার উপচে পড়ে ভিড়। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় সকলেই মন ভরে বড়মার পুজো দিয়ে ফেরেন। ব্যবস্থাপনায় আপ্লুত তাঁরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)