কালীপুজোর চাঁদা তুলতে গিয়ে এক বধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হল তিন জন। জলপাইগুড়ির একটি গ্রামের ওই ঘটনায় রবিবার রাতে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। সে রাতেই ধরা পড়ে এক জন। মঙ্গলবার আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের সকলেরই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে কালীপুজোর চাঁদা তুলতে বেরিয়েছিল এলাকার এক দল যুবক। দলের তিন জন বধূর বাড়িতে গিয়ে চাঁদার জন্য ডাকাডাকি করে। বাড়িতে একা রয়েছেন টের পেয়ে ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধরে মহিলাকে তারা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা বলেন, “ঘটনার কথা কাউকে বললে, আমাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে শাসিয়েছিল ওরা। ভয়ে প্রথমে মুখ খুলিনি। তার পরে স্বামীকে জানাই।” তাঁর স্বামী পুলিশে অভিযোগ করেন।
জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সমীর আহমেদ বলেন, “অভিযোগ পেয়ে তিন জনকে ধরা হয়েছে। তদন্ত চলছে।” পুলিশ জানায়, নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী সিন্ধুকুমার রায় বলেন, “গণধর্ষণের মামলা করেছে পুলিশ।”
এ দিন বিকেলের পরে এলাকার কিছু বাসিন্দা পাল্টা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, চক্রান্ত করে কয়েক জনকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে নির্যাতিতার দাবি, “আমার সঙ্গে যা করেছে, ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”