• জিএসটি ক্ষতিপূরণ নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ তৃণমূলের
    আনন্দবাজার | ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • জিএসটি-র হার কমানোর ফলে সাধারণ মানুষের অর্থ সঞ্চয় হচ্ছে, সেই টাকায় বাজারে বাড়তি কেনাকাটা হচ্ছে বলে মোদী সরকার তার কৃতিত্ব নিতে চাইছে। কিন্তু জিএসটি কমার ফলে রাজ্যগুলির যে রাজস্ব আয়ে লোকসান হচ্ছে, সেই ক্ষতি পূরণ না করে মোদী সরকার ফের পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে বঞ্চিত করছে বলে তৃণমূল অভিযোগ তুলল।

    রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের অভিযোগ, ‘‘মোদী সরকারের যে কোনও নীতি তৈরির মূলে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চনা করা।’’ তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রের বন্যার জন্য টাকা মঞ্জুর করেছেন। কিন্তু উত্তরবঙ্গের বন্যার ক্ষেত্রে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। মোদী-শাহ জুটি ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনে হারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের উপরে বদলা নিচ্ছেন।

    পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অভিযোগ, জিএসটি কমার ফলে রাজ্যগুলির রাজস্ব আয়ে যে ক্ষতি হবে, তা পূরণ করা নিয়ে কেন্দ্র কোনও আশ্বাস দেয়নি। গত শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এ নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘রাজ্যের রাজস্ব কমলে কেন্দ্রেরও কমছে। কেন্দ্রের কাছে কোনও আলাদা টাকার ঝুলি নেই যা থেকে রাজ্যের ক্ষতি পূরণ করা যায়।’’ আজ ডেরেক বলেন, ‘জিএসটি সঞ্চয় উৎসব’-এর নামে ঢাক পিটিয়ে মোদী সরকার জিএসটি কমানোর কৃতিত্ব নিতে চাইছে। বাস্তবে কৃতিত্ব রাজ্য সরকারগুলির প্রাপ্য। তারাই রাজস্ব ক্ষতির দায় নিচ্ছে। ২০১৪-র ফেব্রুয়ারিতে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বলেছিলেন, কেন্দ্র জিএসটি নিয়ে রাজ্যের উদ্বেগ দূর করার চেষ্টা করছে না। এখন প্রধানমন্ত্রী মোদীর উচিত মুখ্যমন্ত্রী মোদীর পরামর্শ মেনে নেওয়া।

    ডেরেক জিএসটি বিল নিয়ে সংসদের যৌথ কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর বক্তব্য, সেই জেপিসি-তেই বিরোধী সদস্যরা সুপারিশ করেছিলেন, জিএসটি-র হার ১৮ শতাংশের কম রাখা হোক। বহু রকম করের হার বাদ দেওয়া হোক। মোদী সরকারের সেই পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে ১০ বছর সময় লাগল।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)