কুম্ভমেলার ভিড় সামলাতে না পারায় গত জানুয়ারিতে নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৮ জনের। গত বছর ছটপুজোয় মধ্য ও পশ্চিম রেলে যাত্রীদের মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ে একাধিক স্টেশনে বিপত্তির উপক্রম হয়েছিল। সেই সব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার ছটের সময়ে দূরপাল্লার ট্রেনে ভিড় সামলাতে বাড়তি তৎপর হচ্ছে রেল। বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে।
ভিড় নিয়ে রেল বোর্ডের নির্দেশিকার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতায় পূর্ব রেলের হাওড়া ও শিয়ালদহ ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের শালিমার স্টেশনে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। একাধিক বিশেষ ট্রেন চালানো ছাড়াও বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশমুখী বিভিন্ন ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপদে সফর নিশ্চিত করতে ওই তিন স্টেশনে একাধিক বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভিড়ের সময়ে অন্যান্য ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতি এড়াতে হাওড়া স্টেশনে ৪৯০০ বর্গফুট এবং ৭৩৬০ বর্গফুটের দু’টি পৃথক পরিসর তৈরি করা হয়েছে। শালিমার স্টেশনে এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম লাগোয়া অংশে লম্বা পরিসর ছাড়াও যাত্রীদের ঢোকা-বেরোনোর জন্য তিনটি প্রবেশপথ খোলা থাকছে। স্টেশনের বাইরেও থাকছে প্রশস্ত জায়গা। যাত্রীদের জন্য দুই এবং তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে আন্ডারপাস ছাড়াও ফুট ওভারব্রিজে এসক্যালেটর, আন্ডারপাসে ট্রাভেলেটর থাকছে। স্টেশনে থাকবে পানীয় জল, আলো, খাবারের দোকানের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও। শিয়ালদহ-সহ তিন স্টেশনেই সিসি ক্যামেরা, দিন-রাত ওয়ার রুম খোলা থাকছে। ওই তিন স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়ার আগে হুড়োহুড়ি এড়াতে আরপিএফ কর্মীদের বিশেষ ভাবে নজরদারি চালাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোনও স্টেশনে যাতে পাশাপাশি প্ল্যাটফর্মে একসঙ্গে ট্রেন না আসে, সে দিকে লক্ষ রাখার পাশাপাশি, শেষ মুহূর্তে যাতে ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম বদল না হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছটপুজোয় দেশে আগামী পাঁচ দিনে ১৫০০টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল। ওই সব ট্রেন ১২ হাজার ট্রিপ চলবে।