বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতে অপরাধীদের তালিকা তৈরি শুরু
আনন্দবাজার | ২৩ অক্টোবর ২০২৫
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি এখনও পড়েনি। যদিও পুজো মিটতেই প্রস্তুতি শুরু করল কলকাতা পুলিশ। অপরাধীদের কার বিরুদ্ধে কতগুলি অভিযোগ রয়েছে, খতিয়ে দেখে থানাস্তরেই তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে লালবাজারের তরফে এই তালিকা চেয়ে পাঠানো হবে ধরে নিয়ে তা তৈরির কাজ এগিয়ে রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়া হতে পারে।
কয়েক মাস পরে ২০২৬ সালেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। নতুন বছরের প্রথম দিকেই সম্ভবত নির্বাচন কমিশনের তরফে তোড়জোড় শুরু হয়ে যাবে। যদিও ভোট প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে আগেই থানা এবং ডিভিশনে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা। নির্দেশ মতো প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে থানা এলাকার অপরাধীদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
শহরের একাধিক থানা জানিয়েছে, দাগি অপরাধীদের পাশাপাশি যাঁদের নামে একাধিক অপরাধ রয়েছে, অস্ত্র এবং মাদক আইনে মামলা রয়েছে তাঁদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ ছাড়াও গত দু’বারের বিধানসভানির্বাচনে যাঁদের বিরুদ্ধে ঝামেলা বা গন্ডগোলের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, তাঁদের সেখানে কী ভূমিকা ছিল, আদৌ তাঁরা গ্রেফতার হয়েছিলেন কিনা, তা-ও তালিকা তৈরির সময় দেখা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে ভোটদানে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে প্রতি বার নির্বাচনে বিরোধীরা অভিযোগ করেন। দাগি অপরাধীর তালিকা তৈরির সময়ে সেই দিকটিও খেয়াল রাখা হচ্ছে বলে খবর। এমনকি নির্বাচনে কার কার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনা-বেচার অভিযোগ ছিল, তা-ও পুলিশের নজরে রয়েছে। গত কয়েক বছরে এই সংক্রান্ত অভিযোগ থানায় কারও বিরুদ্ধে নথিভুক্ত হয়ে থাকলে তা-ও তালিকা তৈরির সময়ে খতিয়ে দেখা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ ডিভিশনের থানার এক পুলিশ ইনস্পেক্টরের কথায়, ‘‘লালবাজারের তরফে আগেই ভোট প্রস্তুতি এগিয়ে রাখার কথা বলা হয়েছিল। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে এলাকার দাগি অপরাধীদের প্রতি বারই নির্বাচনের আগে চিহ্নিত করা হয়। আগামী বছরের নির্বাচনের জন্য নভেম্বরের শুরুতেই লালবাজারের তরফে তালিকা চাওয়া হতে পারে। তাই পুজোর মধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, এ বারের নির্বাচনে ১৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট প্রক্রিয়া সামলাতে হবে কলকাতা পুলিশকে। এ বার থাকছে নির্বাচন ঘিরে সর্বদা উত্তপ্ত থাকা ভাঙড়ও। ভাঙড়কলকাতা পুলিশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এ বারের বিধানসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা লালবাজারের কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে বলে মত অভিজ্ঞমহলের। তাই নির্বাচন ঘিরে যে কোনও অশান্তি রুখতে বাড়তি সতর্ক লালবাজার।