মত্ত অবস্থায় থাকা পড়শি দুই ব্যক্তির মধ্যে হাতাহাতির জেরে এক জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালপুর মালিপাড়ায়। মৃতের নাম বরুণ মণ্ডল (৩৫)। এই ঘটনায় বরুণের স্ত্রী তাঁর স্বামীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম চিরঞ্জিত মিত্র ও শুভঙ্কর মিত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে কোনও একটি বিষয় নিয়ে বরুণের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁরই প্রতিবেশী চিরঞ্জিতের। অচিরেই সেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। গোলমাল চলাকালীন চিরঞ্জিত ডেকে আনে তার ভাই শুভঙ্করকে। অভিযোগ, দুই ভাই মিলে বেধড়ক মারধর করে বরুণকে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বরুণের পরিবারের লোকজন। খবর যায় জিঞ্জিরাবাজার তদন্ত কেন্দ্রে। পুলিশ পৌঁছে বরুণকে উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান।
এ দিকে, এলাকায় বরুণের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায়। মহেশতলা থানার পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে এলে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দা ও বরুণের পরিজনেরা।
ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জ়োনাল) মিতুনকুমার দে বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গালিগালাজ করছিলেন বরুণ। তা থেকেই গোলমালের সূত্রপাত। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ ধৃতদের বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।