• ছটপুজোয় দূষণরোধে ছটে বন্ধই দুই সরোবর, বিকল্পে ৩৯ অস্থায়ী ঘাট
    এই সময় | ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • এই সময়: ছটপুজোয় যাতে রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবরে দূষণ না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে মরিয়া প্রশাসন। সেই লক্ষ্যে দুই সরোবরের দরজাই সাধারণ মানুষের জন্যে বন্ধ রাখা হবে।

    বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সে কথা খুব শিগগিরই জানাতে চলেছে দুই সরোবরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কেএমডিএ। জোর করে যাতে কেউ ভিতরে ঢুকতে না পারে, সে জন্যে দুই লেক মিলিয়ে ৩০০ পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হবে। থাকবেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার দু’জন অফিসারও।

    জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবরে গত ক’বছর ধরেই বন্ধ ছটপুজোর অনুষ্ঠান। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ২০২২–এ জোর করে সরোবরের ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন অনেকে। তেমন ঘটনা পরে আর না হলেও নজরদারিতে ফাঁক রাখতে নারাজ প্রশাসন।

    সরোবরগুলি বন্ধ থাকলেও পুজোয় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্যে আশপাশের পুকুরে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতায় ৩৯টি অস্থায়ী ঘাটও তৈরি করা হয়েছে বলে জানাচ্ছে কেএমডিএ। সুভাষ সরোবর লাগোয়া এলাকায় বিকল্প ঘাট তৈরির দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পুরসভা। রবীন্দ্র সরোবরের আশপাশে বিকল্প ঘাট তৈরি করেছে কেএমডিএ–ই। ঘাটের আশপাশে অস্থায়ী বায়ো–টয়লেটের বন্দোবস্ত করা হবে। পোশাক বদলের জন্যে থাকবে অস্থায়ী তাঁবু।

    এ ছাড়া, প্রতিটি ঘাটে প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থাও থাকছে। পুজো শেষের ৫ ঘণ্টার মধ্যে পুরসভাকে ঘাট সাফাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে কেএমডিএ। মেডিক্যাল ক্যাম্প, জঞ্জাল সাফাই, আলোর ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই পুরসভাকে সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।

    অন্য দিকে, ছটপুজোর দিন সকাল ৬টা থেকে ৮টা, শুধু ২ ঘণ্টার জন্যে বাজি ফাটানো যাবে। তবে যাতে সবুজ বাজি ছাড়া অন্য কোনও বাজি না ফাটে, লালবাজারকে সে দিকে নজর রাখার অনুরোধ জানিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

    কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘সব থানার তরফেই নিয়ম মেনে শুধু সবুজ বাজি ফাটানোর আর্জি জানিয়ে প্রচার চালানো হবে। নিয়ম ভাঙলে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ দীর্ঘদিন ধরে দুই সরোবরের পরিবেশরক্ষায় সক্রিয় পরিবেশকর্মী সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আশা করি, এ বারও জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মানতে সফল হবে প্রশাসন।’

  • Link to this news (এই সময়)