• চিঠি লিখে চন্দননগরে গঙ্গায় ঝাঁপ, ২ দিন পরে শ্রীরামপুরের ঘাটে উদ্ধার তরুণীর দেহ
    এই সময় | ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • চন্দননগরের বাসিন্দা এক তরুণী ২ দিন আগে ঝাঁপ দিয়েছিলেন গঙ্গায়। বৃহস্পতিবার তাঁর দেহ উদ্ধার হলো শ্রীরামপুরের গঙ্গার ঘাটে। চন্দননগরে একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন ওই তরুণী। সেই দোকানের মালিকের স্ত্রী নানা ভাবে তাঁকে মানসিক হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার আগে একটি চিঠি লিখে রেখে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

    নিহত তরুণীর নাম মনামী ঘোষ, বয়স ২৫ বছর। চন্দননগরের বউবাজারের বাসিন্দা মনামী ওই শহরেরই বাগবাজার এলাকার একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন। গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ গঙ্গায় ঝাঁপ দেন তিনি। চন্দননগর স্ট্র্যান্ডে কিছুক্ষণ বসে ছিলেন তিনি। তারপরে একটি চিঠি লিখে তাঁর মোবাইল চাপা দিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপিয়ে পড়েন মনামী। সাঁতার না জানায় গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তলিয়ে যান তিনি। গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েই ডুবুরি ও স্পিড বোট নামায় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী। শুরু হয় তল্লাশি। ২ দিন পরে, বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরের গঙ্গার ঘাটে ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নদীর পাড় লাগোয়া কচুরিপানায় আটকে ছিল দেহ।

    শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে মৃতদেহের ময়না তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। চন্দননগর থানায় একটি মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মনামী যে সোনার দোকানে কাজ করতেন, সেই দোকানের মালিকের স্ত্রী মমতা দাসকে আটক করা হয়েছে। থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

    মৃত তরুণীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দননগরের বউবাজারের শীতলাতলার বাসিন্দা সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়ে গিয়েছিল মনামীর। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামাজিক বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতিও চলছিল। পরিবার জানিয়েছে, বিয়ের লজ ভাড়া, কেটারিং, কেনাকাটা-সহ সবই হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

  • Link to this news (এই সময়)