• বিছানার পাশেই মাটি খুঁড়ে রেখেছে কে! সন্দেহ হতেই পুলিশে খবর, ছ'ফুট গভীর থেকে উদ্ধার গৃহবধূর পচাগলা দেহ
    আজকাল | ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই গৃহবধূর মর্মান্তিক পরিণতি। আপত্তিকর অবস্থায় দু'জনকে দেখে ফেলেছিলেন স্বামী। তার জেরেই রাগের মাথায় স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করে, দেহ মাটির তলায় পুঁতে দিলেন স্বামী। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাহরাইচ জেলায় ৪৮ বছর বয়সি এক যুবক নিজের স্ত্রীকে নির্মমভাবে খুন করে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে সন্দেহের বশেই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে। এরপর স্ত্রীর নিথর দেহ বাড়ির মধ্যেই মাটির নীচে পুঁতে দেয়। মঙ্গলবার অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

    পুলিশ আধিকারিক রামানন্দ প্রসাদ কুশওয়াহা জানিয়েছেন, আহাতা গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত হরিকিষণকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশ্ববর্তী বারাবাঁকি জেলার এক গ্রামে গা ঢাকা দিয়ে ছিল সে। হরিয়ানায় পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। দিন কয়েক বাড়িতে ফিরছিলেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে তার স্ত্রী ৪৫ বছরের ফুল দেবী নিখোঁজ ছিলেন। ১৩ অক্টোবর তাঁর ভাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। 

    গত শুক্রবার বিষয়টি ঘিরে রহস্য দানা বাঁধে। মৃতার ভাই দেখতে পান, অভিযুক্ত যুবকের বিছানার পাশেই মাটি খোঁড়া রয়েছে। সেটি পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সেই ঘরে মাটি খুঁড়তে শুরু করে।‌ সেই মাটির তলা থেকে ফুল দেবীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ততক্ষণে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক। 

    দেহ উদ্ধারের পর নিখোঁজ ডায়েরি বদলে খুনের মামলা রুজু করা হয়। টানা তল্লাশি অভিযান চালানোর পর অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দীর্ঘ পুলিশি জেরায় সে জানিয়েছে, বাড়ি ফেরার পরেই ওই গ্রামের বাসিন্দা গুড্ডুর সঙ্গে ফুল দেবীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিল সে। রাগের মাথায় তখন খুনের পরিকল্পনা করে। স্ত্রীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে, দেহটি ঘরেই মাটির তলায় পুঁতে দেয়। 

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে এই রাজ্যে আরও এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে পাশের বাড়ির ভাইয়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন স্ত্রী। গ্রামে ফিরেই রটনা কানে এসেছিল যুবকের। যা ঘিরে অশান্তিও তুমুল হয়। শেষমেশ চরম পদক্ষেপ করলেন নিজের বাড়িতে। স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন তিনি। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ফতেহপুরে। মৃতেরা হলেন, মুকেশ নিষাদ (৩২) এবং গুড়িয়া দেবী (২৬)। প্রথমে স্ত্রীকে গুলি করে খুন করেন মুকেশ। সঙ্গে সঙ্গে সেই বন্দুক দিয়েই নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন। 

    প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মুকেশ কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। দিন কয়েক আগে ফতেহপুরে বাড়িতে ফেরেন। গ্রামে ফেরার পর কানাঘুষো শোনেন, প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন স্ত্রী। যা ঘিরে দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছয়। শনিবার গভীর রাতেও দম্পতির মধ্যে তুমুল বচসা হয় এই সম্পর্ক ঘিরে। সন্দেশের বশেই রাগের মাথায় চরম পদক্ষেপ করেন মুকেশ। 

    দেশী পিস্তল দিয়ে প্রথমে স্ত্রীকে গুলি করে খুন করেন। এরপর সেই পিস্তল দিয়েই নিজেকে গুলি করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়তেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাড়িতেই অন্যান্য ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল দম্পতির তিন মেয়ে এবং পরিবারের বাকি সদস্যরা। গুলির আওয়াজ পেয়েই সকলের ঘুম ভেঙে যায়। প্রতিবেশীরাও তড়িঘড়ি করে ছুটে আসেন। দরজা ভেঙে দম্পতির রক্তাক্ত দেহ দেখেই পুলিশে খবর দেন তাঁরা। সেই দেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। 

    পুলিশ আধিকারিক মহেন্দ্র পাল সিং জানিয়েছেন, দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশী পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করেছে। স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরেই তরুণীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে গ্রামেও জল্পনা রটেছিল। গ্রামে ফিরেই এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন মুকেশ। তারপর থেকেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন তিনি। 
  • Link to this news (আজকাল)