সোনা ৯০০০ টাকা সস্তা, রুপোর দাম কমল ২৪ হাজার টাকা, এটাই কি কেনার সময়?
আজ তক | ২৩ অক্টোবর ২০২৫
রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছানোর পর, সোনা ও রুপোর দাম এবার কমতে শুরু করেছে। সোনা ও রুপোর দাম তাদের রেকর্ড সর্বোচ্চের চেয়ে অবেকটাই নীচে নেমে গেছে। এই পতনের জন্য বেশ কয়েকটি কারণের উল্লেখ করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, স্বল্পমেয়াদে এটি আরও হ্রাস পাবে।
বৃহস্পতিবার, এশিয়ার বাজারে টানা তৃতীয় দিনের মতো পতন দেখা গেছে, স্পট সোনার দাম প্রতি আউন্সে প্রায় ৪,০৯০ ডলারে নেমে এসেছে। রুপোর দামও কমেছে। এই সপ্তাহের শুরুতে সোনার দাম প্রতি আউন্সে প্রায় ৪,৩৮১ ডলারে পৌঁছেছিল এবং রুপো প্রতি আউন্সে ৫৪.৫ ডলারে পৌঁছেছিল, উভয়ই বর্তমানে প্রায় ১০% কমেছে।
সোনার দাম ৯০০০ টাকা কমেছে
MCX-এ সোনার দামের কথা বলতে গেলে, এর রেকর্ড সর্বোচ্চ স্তর ছিল প্রতি ১০ গ্রামে ১৩২,২৯৪ টাকা, কিন্তু আজ তা প্রতি ১০ গ্রামে ১২২,৩০০ টাকায় নেমে এসেছে। এর অর্থ হল সোনার দাম তার রেকর্ড সর্বোচ্চ থেকে ৯,০০০ টাকা কমেছে। তবে, বর্তমানে, MCX-এ সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ১,৮৫৫ টাকা বেড়ে ১২৩,৭১২ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।
রুপোর দাম ২২,০০০ টাকা কমেছে
MCX-এ রুপোর রেকর্ড সর্বোচ্চ দাম ছিল প্রতি কেজি ১৭০,৪১৫ টাকা, এবং আজ তা কমে প্রতি কেজি ১৪৫,৯০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর অর্থ হল রুপোর দাম তার রেকর্ড সর্বোচ্চ থেকে ২৪,০০০ টাকা কমেছে। বর্তমানে, MCX-এ রুপোর দাম ২,৬৪২ টাকা বেড়ে ১৪৮,২০০ টাকাতে লেনদেন হচ্ছে।
আজও সোনা ও রুপোর দাম কমেছে
আজ IBJA-তে সোনা ও রুপোর দামে বড় পতন দেখা যাচ্ছে। ২৪ ক্যারেট সোনা প্রায় ৩ হাজার টাকা কমে প্রতি ১০ গ্রামে ১,২৩,৮২৭ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ২৩ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ১,২৩,৩৩১ টাকা। ২২ ক্যারেট সোনার দাম ১.১৩ লক্ষ টাকায় নেমে এসেছে। যেখানে ১৮ ক্যারেট সোনা ৯২৮৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। রুপোর দামেও বড় পতন হয়েছে। একদিনে ৯০০০ টাকা কমেছে। আজ IBJA-তে রুপোর দাম প্রতি কেজিতে ১,৫১,২০০ টাকা।
হঠাৎ এই পতন কেন?
রয়টার্সের রিপোর্ট অনুসারে, সোনা ও রুপোর দাম কমে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ উঠে এসেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল কয়েক মাসের রেকর্ড লাভের পর মুনাফা-বণ্টন। মুনাফা-বণ্টনের এই ঢেউয়ের ফলে সোনা ও রুপোর দাম কমছে। তাছাড়া, মার্কিন-চিন বাণিজ্য উত্তেজনা হ্রাস পাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়স্থলের চাহিদাও হ্রাস পেয়েছে। শক্তিশালী ডলার সোনার দামের উপর প্রভাব ফেলেছে। ধনতেরাস এবং দীপাবলির পরে দেশীয় উৎসবের মরশুমের চাহিদা কমে গেছে। এই সমস্ত কারণগুলি সোনা ও রুপোর দাম হ্রাসের অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে।